আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল কাদের মির্জাকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে কাদের মির্জা বাদী হয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।

মঙ্গলবার (১৪ মে) দুপুরে কোম্পানীগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন কাদের মির্জা।

সাধারণ ডায়েরিতে কাদের মির্জা উল্লেখ করেন, আগামী ২৯ মে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থী মিজানুর রহমান বাদলের অনুসারীরা গত কয়েক দিন ধরে একটি নম্বর থেকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছে।

এ ছাড়া নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার পার্শ্ববর্তী দাগনভূইঞা, সুবর্ণচর, কবিরহাট ও সেনবাগ উপজেলার অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের ভাড়া এনে কোম্পানীগঞ্জের শান্তির পরিবেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য চেয়ারম্যান প্রার্থী মিজানুর রহমান বাদল বিগত বেশ কয়েক দিন ধরে নানাবিধ কর্মতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া কোম্পানীগঞ্জের আওয়ামী লীগ সমর্থিত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন মিকন, মো. আইয়ুব আলী, সালেকিন রিমন, জাহেদুল হক কচি, আবদুর রেজ্জাককে বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে আতঙ্কের মধ্যে রেখে নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে।

সাধারণ ডায়েরিতে কাদের মির্জা আরও উল্লেখ করেন, চেয়ারম্যান প্রার্থী পরিচয় দিয়ে শাহাদাত হোসেন বসুরহাট পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. রাসেল, বসুরহাট পৌরসভা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হামিদ উল্যা হামিদ, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আইনুল মারুফকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে হত্যার হুমকি প্রদান করেন। বিষয়টি তিনি সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের অবগত করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে আবদুল কাদের মির্জা ঢাকা পোস্টকে বলেন, একটি নম্বর থেকে আমার ফোনে কল আসে। ফোন রিসিভ করে হ্যালো বললে ফোনের ওপাশ থেকে বলা হয়, আমাকে হত্যা করা হবে। চেয়ারম্যান প্রার্থী মিজানুর রহমান বাদলের অনুসারীরা আগামী ২৯ মে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এমন হুমকি দিয়েছে। এরপর আমি আর কোনো কথা না বলে সংযোগ কেটে দিই। বিষয়টি থানায় লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত উপজেলা চেয়ারম্যানপ্রার্থী মিজানুর রহমান বাদল ঢাকা পোস্টকে বলেন, কে বা কারা করেছে তা তদন্ত বের করা হোক। আমার কোনো অনুসারী এমন কাজ করার কথা না। তারপরও আমি এমন হুমকির ঘটনার নিন্দা জানাই। যারা অভিযুক্ত তাদের আইনের আওতায় আনা হোক।

কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রণব চৌধুরী ঢাকা পোস্টকে বলেন, হত্যার হুমকির বিষয়ে সাধারণ ডায়েরি হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি। এ বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

হাসিব আল আমিন/এমজেইউ