গাজীপুরে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে লিফটে আটকা পড়ে রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় গঠিত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তদন্ত টিম সোমবার (১৩ মে) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তিন সদস্যের তদন্ত টিমে নেতৃত্ব দেন কমিটির প্রধান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (ডেন্টাল) ডা. মাহমুদা বেগম। কমিটির অন্য দুই সদস্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. খায়রুজ্জামান ও সহকারী পরিচালক মো. মাসুদ রেজা খানও তার সঙ্গে ছিলেন।

তদন্ত কমিটির প্রধান ডা. মাহমুদা বেগম বলেন, রোববার সকালে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে লিফটে আটকে পড়ে রোগীর মৃত্যুর খবর মিডিয়ায় প্রচার হওয়ার পর ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে তথ্য পেয়ে ঘটনার তদন্তে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। তিন কার্যদিবসের মধ্যে এ তদন্তের প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। সোমবার শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক মো. আমিনুল ইসলাম, উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলমসহ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক, নার্স, লিফটের অপারেটর, ওয়ার্ডবয়, গণপূর্ত বিভাগের কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বক্তব্য নেওয়া হয়েছে। তদন্তে লিফটি বন্ধের কারণ, তা কতক্ষণ বন্ধ ছিল, লিফটে আটকা পড়া লোকজন কীভাবে উদ্ধার হলো, রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় কারো কোনো অবহেলা ছিল কি-না সব কিছু খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

তদন্ত টিমের সদস্য মো. খায়রুজ্জামান বলেন, রোগীর স্বজনদের সঙ্গেও এ ব্যাপারে কথা বলা হবে। তাদের সঙ্গে টেলিফোনে কিংবা ফোন করে নিয়ে এসে কথা বলা হবে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. মাসুদ রেজা খান বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার পর যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিলে ৩ নম্বর লিফটি থেমে যায়। লিফটের ভেতর ভুক্তভোগী রোগীসহ তার স্বজন ও অন্যরা ১০ মিনিটের মতো আটকে ছিল। ১০ মিনিট পরে তাদের উদ্ধার করে আনা হয়। আর রোগীর স্বজনরা ৪০ মিনিট ভেতরে আটকে থাকার কথাও আমরা খতিয়ে দেখছি। তবে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে ঘটনার সময় ওই লিফটের ভেতরে কোনো লিফটম্যান বা কোনো অপারেটর ছিল না। আমরা ভুক্তভোগী রোগীর স্বজনদের সঙ্গেও কথা বলার জন্য তাদের মোবাইল ফোন নম্বর সংগ্রহ করেছি।

এ ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করেছে। তারাও তদন্ত শুরু করেছে বলে জানান হাসপাতালের পরিচালক মো. আমিনুল ইসলাম।

শিহাব খান/আরএআর