দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি পরীক্ষায় প্রকাশিত ফলাফলে চার বিদ্যালয়ের কেউ পাস করেনি। এ চার বিদ্যালয়ে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ২৭ জন।

বিদ্যালয়গুলো হচ্ছে, দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার চৌমহনী মডেল উচ্চ বিদ্যালয়। এ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ছিল ৬ জন। গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ঘোগোয়া মালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। এ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ছিল ১৪ জন। কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার পূর্ব সুখতি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। এ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ৫ জন ও নীলফামীর ডিমলা উপজেলার শেখ ফজিলাতুননেছা মুজিব বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ২ জন। 

শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা যায়, এ বছর ছাত্রদের তুলনায় ছাত্রীদের পাসের সংখ্যা ও জিপিএ-৫ এর সংখ্যাও বেশি। ছাত্রীদের পাসের হার ৮১ দশমিক ০৭ শতাংশ এবং ছাত্রদের পাসের হার ৭৫ দশমিক ৮৫ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯ হাজার ২৪৬ ছাত্রী। আর ৮ হাজার ৮৫৯ ছাত্রজিপিএ-৫ পেয়েছে। বহিষ্কৃত পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৬৬।

দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এ বছর কোনো পরীক্ষার্থী পাস করেনি এমন বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৪টি। ৭৭টি বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থী শতভাগ পাস করেছে। ২৭৮টি কেন্দ্রের মাধ্যমে ২ হাজার ৭৩০টি বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থীরা এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। এদের মধ্যে নিয়মিত পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৬৪ হাজার ২২১ জন। অনুপস্থিত শিক্ষার্থী ছিল ৯৪১ জন। নিয়মিত পরীক্ষার্থীর পাসের সংখ্যা ১ লাখ ৩০ হাজার ১৪৪ জন ।

দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মীর সাজ্জাদ আলী জানান, গত বছরের তুলনায় এ বছর পাসের হার ও জিপিএ-৫ এর সংখ্যা বেড়েছে। তবে আমাদের আরও ভালো ফলাফল প্রত্যাশা ছিল। কিছু ছাত্র-ছাত্রী গণিত ও ইংরেজি বিষয়ে ফলাফল ভালো করতে পারেনি। আমাদের শিক্ষকদের বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করার পরিকল্পনা রয়েছে। কারণ প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই। এ বছর যে সকল বিদ্যালয়ের পাসের হার শূন্যের কোঠায় তাদের বিরুদ্ধে মন্ত্রণালয় যে ব্যবস্থা গ্রহণ করে সেই ব্যাপারে সুপারিশ করা হবে। এসব বিদ্যালয়ের পাঠদানের অনুমতি বাতিল করা হবে। ওই সব বিদ্যালয়ে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১ থেকে ১৪ জনের মধ্যে।        

ইমরান আলী সোহাগ/এমএএস