চরাঞ্চলের উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন সমবায়ভিত্তিক চাষ। এজন্য আধুনিক সমবায় সমিতি গঠন করতে হবে। বাংলাদেশের কৃষিখাতকে সমবায়ের আওতায় আনতে হবে, যাতে কৃষকের সার, বীজ ও কীটনাশক প্রয়োগে অসুবিধা না হয়। 

শনিবার (১১ মে) রংপুরের গংগাচড়া উপজেলার পূর্ব ইচলী চরে তামাক চাষ অধ্যুষিত অঞ্চলে তামাকের পরিবর্তে গম ও ভুট্টা উৎপাদন কর্মসূচির আওতায় ফসল কাটা-মাড়াই উৎসব ও কৃষক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মো. আব্দুল ওয়াদুদ এসব কথা বলেন। 

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বগুড়া পল্লী উন্নয়ন একাডেমির মহাপরিচালক মো. খুরশীদ ইকবাল রেজভী।  

প্রতিমন্ত্রী উত্তরাঞ্চলের মঙ্গা প্রসঙ্গে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উত্তরাঞ্চলের মঙ্গা দূরীভূত হয়েছে। সরকারের কৃষি প্রণোদনার ফলে চরাঞ্চলের জমিগুলোতে বছরে তিনবার ফসল উৎপাদন হচ্ছে। বাংলাদেশের মানুষের প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভালোবাসা থাকায় দেশে সর্বত্র উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে। 

তামাক চাষ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তামাক স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। তাই তামাক চাষ পরিহার করে চরাঞ্চলে গম ও ভুট্টা চাষ করতে হবে। চরাঞ্চলের মানুষের জীবনমান উন্নয়নের বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সমবায় ব্যাংক সহজ শর্তে কৃষকদের ঋণ প্রদান করবে। এ ছাড়া সমন্বিত চর উন্নয়ন প্রকল্প, টেকসই সোলার প্রজেক্ট ও বজ্রপাত নিরোধক প্রকল্প গ্রহণ করা হবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন রংপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান বাবলু, ইউনাইটেড কমার্সিয়াল ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক এটিএম তাহমিদুজ্জামান, ইউনাইটেড কমার্সিয়াল ব্যাংকের টেকনিক্যাল উপদেষ্টা একেএম জাকারিয়া প্রমুখ। 

অনুষ্ঠানে গংগাচড়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রুহুল আমীন, গংগাচড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদ তামান্না, স্থানীয় নেতৃবৃন্দ, সরকারি কর্মকর্তা, এনজিও প্রতিনিধি, কৃষক ও সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।  

কৃষক সমাবেশের পূর্বে প্রতিমন্ত্রী বগুড়া পল্লী উন্নয়ন একাডেমি ও সুইসকন্ট্যাক্ট কর্তৃক চরাঞ্চলে বাস্তবায়নাধীন এমফোরসি প্রকল্পের বিভিন্ন কার্যক্রম পরিদর্শন করেন এবং একটি ভ্রাম্যমাণ সোলার সেচপাম্প উদ্বোধন করেন।

ফরহাদুজ্জামান ফারুক/এমএএস