নাশতা দিয়ে পানি আনতে গেলেন স্ত্রী, এসে পেলেন স্বামীর মরদেহ
বৃদ্ধ স্বামীকে সকালের নাশতা হিসেবে মুড়ি খেতে দিয়ে স্ত্রী পাশের বাড়িতে গিয়েছিলেন পানি আনতে। পানি নিয়ে ফিরে এসে স্ত্রী দেখতে পান স্বামীর মরদেহ ঘরের পাশে আম গাছে ঝুলে রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
শুক্রবার (১০ মে) সকালে শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার মোক্তারের চর ইউনিয়নের নয়ন মাদবরকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। নিহত মুজিবুর রহমান মাদবর (৬৫) নয়ন মাদবরকান্দি গ্রামের বাসিন্দা।
বিজ্ঞাপন
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জমি নিয়ে দ্বন্দ্ব থাকায় দীর্ঘদিন ধরে বাড়িতে থাকেন না মুজিবুর মাদবর ও আমিরজান দম্পতি। কয়েকদিন আগে বাড়িতে ফেরেন তারা। শুক্রবার সকালে স্বামী মুজিবুর মাদবরকে সকালের নাশতা হিসেবে মুড়ি খেতে দিয়ে স্ত্রী আমিরজান দেখতে পান ঘরে খাবার পানি নেই। এ সময় তিনি পানি আনতে পাশের বাড়িতে যান। পানি নিয়ে ফিরে এসে দেখতে পান স্বামী মুজিবুর মাদবরের মরদেহ ঘরের কোণে থাকা একটি আম গাছে ঝুলে রয়েছে। এরপর তিনি বাড়ির অন্যদের ডেকে আনেন। স্থানীয়রা বিষয়টি পুলিশকে জানালে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে পাঠায়।
নিহত মুজিবুর মাদবরের স্ত্রী আমিরজান ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি তাকে মুড়ি খেতে দিয়ে পাশের বাড়িতে গিয়েছিলাম পানি আনতে। এসে দেখি তার মরদেহ আম গাছে ঝুলে রয়েছে। এরপর বাড়ির অন্যদের ডেকে আনলে সুমন মাদবরসহ অন্যরা আমাকে মেহগনি গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখে। এরপর পুলিশ এসেছে।
অভিযোগ অস্বীকার করে সুমন মাদবর ঢাকা পোস্টকে বলেন, গতকাল রাতে মুজিবুর মাদবর তার স্ত্রী আমিরজান ও মেয়েদের সঙ্গে ঝগড়া করেছেন। সকালে এমন ঘটনা ঘটার পর আমিরজান বেগম স্বাভাবিক ছিলেন। ঘটনার পরে তার নাতিসহ অন্যরা পালিয়ে যান। এ সময় আমিরজান চলে যেতে চাইলে আমি তাকে জিজ্ঞেস করি আপনি কোথায় যাচ্ছেন? এরপর তিনি চলে যেতে চাইলে আমি তার হাতে ধরে আটকে রেখেছি। তাকে আমি বেঁধে রাখিনি।
নড়িয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, খবর পেয়ে আমি ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছি। গলায় দড়িসহ আম গাছ থেকে বৃদ্ধ মুজিবুর মাদবরের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছি। প্রাথমিকভাবে মরদেহে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় অভিযোগ দায়ের হলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সাইফ রুদাদ/আরএআর