ইনসেটে নিহত পাইলট আসীম জাওয়াদ রিফাত

‘আম্মু রুটি খাও, না হলে ভাত খাও। তুমি না এলে খাব না আম্মু। আমার ছেলে এই কথাগুলো আমাকে বলত। এখন আমার ছেলে না এলে আমি খাব না।’

একমাত্র সন্তানকে হারিয়ে কান্নাজড়িত কণ্ঠে কথাগুলো বলছিলেন চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় নিহত পাইলট আসীম জাওয়াদ রিফাতের মা।

ছেলেকে হারিয়ে কান্না করতে করতে বারবার জ্ঞান হরিয়ে ফেলছেন মা নিলুফার খানম। স্বজনরা তাকে নানাভাবে বুঝানোর চেষ্টা করছেন।

রিফাত বেশ কয়েক মাস আগে স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে মানিকগঞ্জে এসেছিলেন। তখন বাবা-মাসহ স্বজনদের সঙ্গে সময় কাটিয়েছেন। এরপর স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে কর্মস্থল চট্টগ্রামে চলে যান।

প্রসঙ্গত, আজ বৃহস্পতিবার (৯ মে) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চট্টগ্রাম নগরের পতেঙ্গা এলাকায় কর্ণফুলী নদীতে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস হয়ে মানিকগঞ্জের পাইলট আসীম জাওয়াদ রিফাত চট্টগ্রাম নৌবাহিনী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

অসীম জাওয়াদ বিমানবাহিনীর স্কোয়াড্রন লিডার ছিলেন। তিনি ২০১০ সালে বাংলাদেশ এয়ারফোর্স অ্যাকাডেমিতে (বাফা) যোগদান করেন। তিনি ২০১১ সালে বিমানবাহিনীতে অফিসার হিসেবে কমিশন লাভ করেন। প্রায় ৮ বছর আগে নারায়নগঞ্জের বিয়ে করেন। স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে চট্টগ্রামে থাকতেন অসীম জাওয়াদ। আর তার বাবা-মা মানিকগঞ্জ জেলা শহরের গোল্ডেন টাওয়ারের ছয়তলায় একটি ফ্ল্যাটে থাকেন।

সোহেল হোসেন/এমজেইউ