নওগাঁর পত্নীতলায় ১৫ টন সরকারি চাল কেনার অপরাধে এনামুল হক ও আলমগীর কবির নামের দুই ব্যবসায়ীকে এক লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার মধইল বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে এ অর্থদণ্ড প্রদান করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পত্নীতলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পপি খাতুন।

খাদ্য বিভাগ ও ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির কিছু চাল জয়পুরহাট জেলা থেকে পত্নীতলায় এসেছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাতে মধইল বাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানে ওই এলাকার চাল ব্যবসায়ী এনামুল হক ও তার ভাই আলমগীর কবিরের গোডাউনে গেলে ১৫ টন চাল সরকারি বস্তায় মজুত পাওয়া যায়। এ অপরাধে খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, মজুত, স্থানান্তর, পরিবহন, সরবরাহ, বিতরণ, বিপণন (ক্ষতিকর কার্যক্রম) প্রতিরোধ আইন, ২০০৩ এর ৬ ধারায় তাদেরকে এক লাখ টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

এ বিষয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পত্নীতলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পপি খাতুন ঢাকা পোস্টকে বলেন, সরকারি বস্তায় চাল ক্রয়-বিক্রয় সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও ওই দুই ব্যবসায়ী জয়পুরহাট পুলিশ লাইনস থেকে রেশনের চাল কিনে মজুত করেছেন। যা সম্পূর্ণ নিয়ম বহির্ভূত হওয়ায় দুই ব্যবসায়ীকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাদের সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্তদের মধ্যে একজন স্থানীয় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলার। বিষয়টি নিয়ে জয়পুরহাটের একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের সঙ্গে ইতোমধ্যে কথা হয়েছে।

রেশনের চাল ব্যবসায়ীদের কাছে এভাবে বিক্রির নিয়ম আছে কি না জানতে চাইলে পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত জয়পুরহাট জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) কে.এম.এ মামুন খান চিশতী ঢাকা পোস্টকে বলেন, রেশনের চাল নওগাঁয় ধরা পড়ার তথ্য আমার জানা নেই। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখব।

আরমান হোসেন রুমন/এমজেইউ