উপজেলা পরিষদ নির্বাচন
সাবেক শিক্ষক আমিনুলেই আস্থা তালাবাসীর
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চারটি ধাপের তফসিল ঘোষণা হয়েছে। এরই মধ্যে শুরু হয়েছে প্রার্থীদের দৌড়ঝাঁপ। এবারের নির্বাচনে দলীয় প্রতীক না থাকায় প্রার্থীদের কাছে ভোটারদের আগ্রহ যেমন বেড়েছে, তেমনি ভোট নিয়ে সরগরম পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলার প্রতিটি গ্রাম থেকে গ্রাম, বাজার কিংবা মহল্লায় ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গণসংযোগ ও সমর্থন চাইছেন প্রার্থীরা।
এর মধ্যে দ্বিতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত হবে সাতক্ষীরার তালা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। ইতোমধ্যে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষ হয়েছে। আগামী ২ মে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে।
বিজ্ঞাপন
এবারের নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তালা উপজেলার বর্তমান চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার, খেশরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক প্রধান শিক্ষক মো. আমিনুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সরদার মশিয়ার রহমান, সাবেক জেলা কৃষক লীগের সভাপতি বিশ্বজিত সাধু, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আতাউর রহমান গোলদার, উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি এসএম নজরুল ইসলাম ও এমএ মালেক।
এই নির্বাচনে এরই মধ্যে সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ ও ভোটারদের মন জয় করে নির্বাচনী প্রচারণায় এগিয়ে রয়েছেন সাবেক প্রধান শিক্ষক ও খেশরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আমিনুল ইসলাম। উপজেলায় হাজারো ভোটার ও বিভিন্ন ইউনিয়নের নেতাকর্মীদের ভালোবাসায় চালিয়ে যাচ্ছেন গণসংযোগ। ছুটছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে।
আমিনুল ইসলাম তালার শাহাজাতপুর ইউসুফ স্মৃতি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান শিক্ষক ছিলেন। এছাড়া তিনি জাগরণী মাধ্যমিক বিদ্যালয়েরও প্রধান শিক্ষক ছিলেন।
স্থানীয়রা জানান, এই উপজেলায় উন্নয়নের তেমন কোনো ছোঁয়া লাগেনি। গত কয়েক বছরে তেমন কোনো কাজই হয়নি। তবে এবার আমিনুল ইসলাম চেয়ারম্যান পদে দাঁড়িয়েছেন। আমিনুল স্যারের সঙ্গে কথা বলে মনে হয়েছে তিনি একজন ভদ্রলোক। তিনি মানুষ গড়ার কারিগর; শিক্ষক মানুষ। তার কথা শুনছি চারদিকে। তিনি চেয়ারম্যান হতে পারলে উপজেলার মানুষের আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটবে।
তালার খেশরা ইউনিয়নের শাহাজাতপুরের বাসিন্দা রিয়াদ হোসেন বলেন, আমিনুল ইসলাম স্যার একজন শিক্ষাবিদ। তিনি প্রধান শিক্ষক ছিলেন। তিনি মানুষ গড়ার কারিগর। তার সঙ্গে কথা বলে ও আচর আচরণে মনে হয়েছে তিনি ভালো মানুষ। তিনি চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হলে আমরা আগামীতে ভালো কিছু পাব। উপজেলার উন্নয়নের জন্য তাকে প্রয়োজন। ইতোমধ্যে তিনি এখানকার উন্নয়নে অনেক কিছুই করেছেন। নির্বাচিত হলে আশা করি আমাদের প্রত্যাশা পূরণ করবেন।
হরিঢালী-কপিলমুনি ডিগ্রি মহিলা কলেজের ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক ও তালার শাহাজাতপুরের বাসিন্দা জিএম মনিরুল ইসলাম বলেন, সৎ, মার্জিত ও যোগ্য প্রার্থী আমিনুল ইসলাম। তিনি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হলে শিক্ষা, সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক বিষয়ের সুস্ঠু ব্যবস্থাপনা করতে পারবেন। মানুষ তাকে আন্তরিকভাবে গ্রহণ করেছে। তার প্রতি ভোটারদের আস্থা রয়েছে।
তালা উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী সাবেক প্রধান শিক্ষক মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতির সাথে জড়িত রয়েছি। নির্বাচনী প্রচারণার শুরু থেকে একটি বিষয় লক্ষ্য করেছি সেটি হলো, মানুষ পরিবর্তন চায়। তারা তালার উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য আমার ওপর ভরসা করছে। তাই তালা উপজেলাকে নতুন করে সাজাতে আমি তৃণমূল থেকে কাজ করার প্রত্যয় নিয়েই মাঠে নেমেছি। হাজারো মানুষের ভালোবাসা আমাকে পথ চলতে সাহায্য করছে। মাঠে আছি, জনগণকে পাশে পাচ্ছি। তাই ভালো কিছুর প্রত্যাশাও রাখছি।
তফসিল অনুযায়ী, আগামী ৮ মে প্রথম ধাপে ১৫০ উপজেলায় ভোট হবে। দ্বিতীয় ধাপে ১৬০ উপজেলার ভোটগ্রহণ ২১ মে। তৃতীয় ধাপের ১১২ উপজেলায় ভোটগ্রহণ ২৯ মে। আর ৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে ৫৫ উপজেলায় চতুর্থ ধাপের নির্বাচন।
মোহাম্মদ মিলন/আরএআর