ফরিদপুরের পুলিশ সুপার
‘মধুখালীর ঘটনায় ফায়দা হাসিলের উদ্দেশ্যে আজকের মহাসড়ক অবরোধ’
ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম বলেছেন, মধুখালীর পঞ্চপল্লীর ঘটনা নিয়ে পুলিশ ইতোমধ্যে আইনগত যথাযথ পদক্ষেপ নিয়েছে। তারপরও একটি মহল এ ঘটনাকে পুঁজি করে ভিন্ন মাত্রা দিয়ে ফায়দা হাসিলের উদ্দেশ্যে আজ মনববন্ধন কর্মসূচি পালনের নামে বিক্ষোভ করে কমপক্ষে পাঁচ ঘণ্টা ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে রেখে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে নিজ কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
পুলিশ সুপার বলেন, গতকাল সোমবার একটি ফেসবুক আইডি থেকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি রক্ষায় সর্বস্তরের মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এর কিছুক্ষণ পর তিনি ফেসবুকে নতুন পোস্ট দিয়ে বলেন, এ কর্মসূচি তারা পালন করবেন না। তারপরও আজ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মধুখালী ঈদগাহের সামনে মহাসড়কে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। এ কর্মসূচি শেষ করে পুলিশের বাধা অমান্য করে মহাসড়কে উঠে যান চলাচল বন্ধ করে দিয়ে ডুমাইন এলাকার দিকে অগ্রসর হতে থাকেন তারা। তারা মধুখালী বাজার, মরিচ বাজার, মালেকা চক্ষু হাসপাতাল, আড়কান্দি সেতু, নওপাড়া মোড়, বাগাট বাজার, ঘোপঘাট স্ট্যান্ড, মাঝিবাড়ি স্ট্যান্ডসহ মহাসড়কের প্রায় ১০ কিলোমিটার এলাকার বিভিন্ন স্থানে সমবেত হয়ে নির্মাণ শ্রমিকদের হত্যার বিচার দাবিতে বিক্ষোভ করতে থাকেন। পরে এসব কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া ৮ থেকে ১০ হাজার বিক্ষোভকারী ওই জায়গাসমূহের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গাছের গুঁড়ি, ইট ও বাঁশের বেরিকেড দিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন। এ সময় তারা রাস্তার ওপরে টায়ারে ও গাছের গুঁড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন।
আরও পড়ুন
তিনি বলেন, বিক্ষোভকারীদের সুনির্দিষ্ট কোনো দাবি ও স্থান ছিল না। পুলিশ শর্টগান ও গ্যাস গানের ফায়ার করে রাস্তা থেকে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেয়। এতে ১২ জন পুলিশ ও তিন-চারজন সাধারণ মানুষ আহত হন। বিক্ষোভকারীরা পুলিশ সুপার এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের গাড়ির কাঁচ ভেঙে দেন।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম বলেন, সরকারি কাজে বাধা, সরকারি সম্পদ বিনষ্ট ও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার জানান, পঞ্চপল্লীর ঘটনা নিয়ে যে তিনটি মামলা হয়েছে তাতে এখন পর্যন্ত ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে দুইজন আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। ভিডিওতে দেখা দুই ব্যক্তিও আছেন। ভিডিওতে যাদের দেখা গেছে তাদের সবার পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি ইউপি চেয়ারম্যান শাহ্ আসাদুজ্জামান ও ইউপি সদস্য অজিত কুমার বিশ্বাসকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চালনো হচ্ছে। প্রতিমায় কে আগুন ধরিয়েছে তা এখন পর্যন্ত শনাক্ত হয়নি।
জহির হোসেন/আরএআর