কুমিল্লার তিতাস উপজেলার দড়িকান্দি এলাকার প্রবাসী সফিক মিয়ার স্ত্রী শাহিনুর আক্তার। সোমবার (২২ এপ্রিল) সকালে মা দিলবার নেছার সঙ্গে তার দুই মেয়ে সায়মা (৫) ও রাইসাকে (২) নিয়ে কুমিল্লা শহরে গিয়েছিলেন ডাক্তার দেখাতে। ডাক্তার দেখিয়ে ফেরার পথে দাউদকান্দি উপজেলার রায়পুর মালিখিল এলাকায় এসে মহাসড়ক পার হওয়ার সময় বেপরোয়া একুশে পরিবহন বাসের নিচে চাপা পড়েন সবাই।

সোমবার (২২ এপ্রিল) রাতে নিহত শাহিনুরের শ্বশুর রশিদ মোল্লা দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মরদেহ নিতে এসে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

রশিদ মোল্লা বলেন, শাহিনুর আমার ছোট ছেলের বউ। তাদের ঘরে দুটো মেয়ে। আজ সকালে তার মাকে সঙ্গে করে আমার নাতনি দুইটাকে নিয়ে কুমিল্লায় ডাক্তার দেখাতে যায় শাহিনুর। আমি নিষেধ করেছিলাম যাওয়ার আগে। কিন্তু শোনেনি। সকালের সেই যাওয়াই শেষ যাওয়া হলো তাদের। ফিরল লাশ হয়ে। 

তিনি আরও বলেন, আমার ছেলে সফিকের কলিজার টুকরো ছিল মেয়ে দুটি। আমার ছেলেকে এখনো দুর্ঘটনার খবর শুনাইনি। সে শুনলে শোকে পাগল হয়ে যাবে। আমাদের পরিবার কী করে এই শোক সইবে?

এর আগে রাত ৮টার দিকে মহাসড়ক পার হওয়ার সময় বেপরোয়া গতির একুশে পরিবহন বাসের নিচে চাপা পড়ে দুই শিশুসহ এই চারজনের মৃত্যু হয়। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার রায়পুর মালিখিলি এলাকায় ঢাকামুখী লেনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। 

নিহতরা হলেন- তিতাস উপজেলার ভিটিকান্দি ইউনিয়নের কদমতলী গ্রামের শাহজালালের স্ত্রী দিলবার নেছা (৬৫), তার মেয়ে পাশের দড়িকান্দি এলাকার প্রবাসী সফিক মিয়ার স্ত্রী শাহিনুর আক্তার এবং তাদের দুই মেয়ে সায়মা (৫) ও রাইসা (২)।

দাউদকান্দি হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীনুল আলম ঢাকা পোস্টকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আরিফ আজগর/আরএআর