মানিকগঞ্জের মিথ্যা ধর্ষণ মামলা করায় আমেনা বেগম (৩৯) নামের এক নারীকে এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে এক মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকেলে আসামির অনুপস্থিতিতে মানিকগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক বেগম তানিয়া কামাল এ রায় দেন। 

দণ্ডপ্রাপ্ত আমেনা বেগম নওগাঁর আত্রাই উপজেলার ভূপাড়া এলাকার মোহাম্মদ আরিফ হোসেনের স্ত্রী। তিনি কাজের সুবাধে মানিকগঞ্জের শিবালয়ে টেপড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। ভুক্তভোগী শাহীনুজ্জামান বাবু মানিকগঞ্জের শিবালয়ের শিবরামপুর এলাকার মৃত জয়নাল আবেদীনের ছেলে।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ২৬ মে শাহীনুজ্জামান বাবুকে আসামি করে শিবালয় থানায় নারী ও নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণ মামলা করেন আমেনা বেগম। পরে ওই বছরের ৯ জুন অভিযুক্ত শাহীনুজ্জামন বাবুকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। ওই মামলায় চার মাস কারাভোগের পর জামিনে মুক্ত হন শাহীনুজ্জামান বাবু।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই জাহাঙ্গীর আলম মামলাটি তদন্ত করেন এবং অভিযোগের বিষয়ে কোনো সত্যতা ও সাক্ষী না পাওয়ায় অভিযোগটি মিথ্যা বলে ট্রাইব্যুনালে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। একই সঙ্গে মামলার বাদী আমেনা বেগমের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১৭ ধারায় আইনগত ব্যবস্থার জন্য অনুরোধ করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম। পরে ২০১৮ সালের ২৩ জানুয়ারি বিচারক মামলাটি খারিজ করে দেন। এরপর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১৭ ধারায় আমেনা বেগমের বিরুদ্ধে শাহীনুজ্জামান বাবু বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলার পর থেকে আসামি আমেনা বেগম পলাতক রয়েছেন। মামলায় পাঁচজনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও আইনজীবীদের যুক্তিতর্ক শেষে দোষী প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক আমেনা বেগমকে এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন। 

রায়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি একেএম নুরুল হুদা রুবেল সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। 

সোহেল হোসেন/আরএআর