ঝালকাঠিতে ট্রাকচাপায় ১৪ জন নিহতের ঘটনায় চালক-হেলপার কারাগারে
ঝালকাঠিতে ট্রাকচাপায় ১৪ জন নিহতের ঘটনার মামলায় ট্রাকের চালক ও হেলপারকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বিকেলে ঝালকাঠির সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মনিরুজ্জামান এই নির্দেশ দেন।
আদালত পুলিশের পরিদর্শক কামরুজ্জামান বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন।
বিজ্ঞাপন
এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে ঝালকাঠি সদর থানায় সড়ক ও পরিবহন আইনের ১০৫ ধারায় রাজাপুর উপজেলার সাউথপুর এলাকার একই পরিবারের চারজন নিহতের মধ্যে হাসিবুর রহমানের ছোট ভাই মো. হাদিউর রহমান (২৩) বাদী হয়ে মামলা করেন।
মামলায় ঝালকাঠি সদর উপজেলার বারইগাতি এলাকার আনসার আলী হাওলাদারের ছেলে ট্রাকচালক মো. আল আমিন হাওলাদার (৩২) এবং খুলনা খালিশপুর থানার জোড়াগেট এলাকার মো. কালু শেখের ছেলে হেলপার মো. নাজমুল শেখকে (২২) আসামি করা হয়।
ঝালকাঠি সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহীদুল ইসলাম বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন। এর আগে গতকাল বুধবার চালক আল আমিন হাওলাদার ও হেলপার নাজমুলকে আটক করে ডিবি পুলিশ।
আরও পড়ুন
মামলা সূত্রে জানা গেছে, রাজাপুর থেকে দুপুরের দিকে মো. ইব্রাহিম ফকির প্রাইভেটকারে মো. হাসিবুর রহমান, তার স্ত্রী নাদিয়া আক্তার সোনিয়া, তার ছেলে তাহমিদ রহমান, মেয়ে তাকিয়া আক্তার ও খালাতো বোন নিপা আক্তার এবং তার স্বামী মো. আল ইমরানসহ বরিশালের উদ্দেশ্যে রওয়ানা করেন। ঝালকাঠি গাবখান টোল প্লাজায় টোল দেওয়ার সময় পেছনে আরও দুইটি ইজিবাইক অপেক্ষায় ছিল। এ সময় খুলনা থেকে সিমেন্টবোঝাই টাটা কোম্পানির মালবাহী ট্রাক (ঢাকা মেট্রো- ট-১১-০৯৫৭) বেপরোয়া গতিতে চালিয়ে দুটি ইজিবাইক ও প্রাইভেটকারকে চাপা দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় লোকজন এসে গাড়ির মধ্য থেকে যাত্রীদের উদ্ধার করেন। এতে ঘটনাস্থলে আটজন, ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চারজন এবং বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুইজনসহ মোট ১৪ জন মারা যান। এ ছাড়া আহত যাত্রীদের মধ্যে দুইজন ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে এবং নয়জন বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
ঝালকাঠি ডিবি পুলিশের ওসি মনিরুজ্জামান জানান, ঘটনার পর স্থানীয়দের সহযোগিতায় ঘটনাস্থল থেকে তিন কিলোমিটার দূরের গ্রাম বাসন্ডা থেকে ট্রাকের চালক এবং হেলপারকে আটক করা হয়েছে।
ঝালকাঠি সদর থানা পুলিশের ওসি শহিদুল ইসলাম জানান, মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ট্রাকের চালক ও হেলপারকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তীতে তাদের রিমান্ডে নেওয়ার জন্য আবেদন করা হবে।
ওসি আরও জানান, গ্রেপ্তার চালক আল আমিনের ট্রাক চালানোর জন্য লাইসেন্স ছিল না। তিনি হালকা যানের লাইসেন্স দিয়ে ভারী যানবাহন চালাচ্ছিলেন।
মো. নাঈম হাসান ঈমন/এমজেইউ