সুনামগঞ্জে তিন পরিবারকে একঘরে নিয়ে দুই পঞ্চায়েত গোষ্ঠীর সংঘর্ষে অন্তত ১৫-২০ জন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশ ১৫ রাউন্ড গুলি নিক্ষেপ ও ঘটনাস্থল থেকে ৩ জনকে আটক করেছে। 

ছাতক উপজেলা নির্বাহী অফিসার গোলাম মুস্তাফা মুন্না, ছাতক সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার রণজয় চন্দ্র মল্লিক ও ছাতক থানা পুলিশের ওসি মোহাম্মদ শাহ আলম ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করেন।

রোববার( ১৪ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে সুনামগঞ্জের ছাতক থানার দক্ষিণ খুরমা ইউপির খুরমা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এই সংঘর্ষ হয়। 

এ ঘটনায় আহতরা হলেন, খুরমা গ্রামের জোহান (২০), ফাহিম (২০), তারেক (২০), সালামত (৫০), নজমুল ইসলাম মিলাদ (৩৫) মুনতাহা (১৫) লিয়াকত আলী (৩০) ফরিদ মিয়াসহ (৩০) আরও ৮-১০ জন। আহতরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন। 
 
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৫ রমজান আসরের নামাজের পর মহব্বতপুর গ্রামের আমজাদ আলীর ছেলে আফজালের (২২) সঙ্গে একই গ্রামের কুসুম আলীর ছেলে আলী আহম্মদের (৩৫) পূর্ব বিরোধের জেরে তারাবির নামাজের পরে মহব্বতপুর মসজিদের সামনে মারধরের ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে আমজাদ আলী এ বিষয়ে খুরমা গ্রামের পঞ্চায়েতী মুরুব্বী আব্দুল খালিককে জানালে মহব্বতপুর গ্রামের আবুল বাশার এবং আফরোজ আলীর পক্ষের লোকজনরা মিলে আমজাদ আলী, ইয়াকুব আলী এবং তোরাব আলী এই তিন পরিবারের লোকজনকে একঘরে করে রাখার ঘোষণা দেন।

গতকাল রাতে খুরমা গ্রামের পঞ্চায়েত আব্দুল খালেক গিয়ে মহব্বতপুর পঞ্চায়েতের কাছে তিন পরিবারকে একঘরে করে রাখার বিষয়টি জানতে চাইলে খুরমা গ্রাম পঞ্চায়েত এবং মহব্বতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে মতবিরোধ সৃষ্টি হয়। এ বিরোধের জেরে মহব্বতপুর গ্রামের আবুল বাশার মুন্না ও আফরোজ আলী গ্রামের লোকজনকে মসজিদের মাইকের মাধ্যমে ঘোষণা দিয়ে খুরমা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জড়ো করেন। পরে খুরমা এবং মহব্বতপুর গ্রামের আনুমানিক ৩০০-৪০০ লোকজন দেশীয় অস্ত্রসহ মারামামারিতে লিপ্ত হন।
 
ছাতক থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, খবর পেয়ে অফিসার ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য ১৫ রাউন্ড শর্টগানের রাবার বুলেট ছুঁড়েছে পুলিশ।  ঘটনাস্থল থেকে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এমএএস