বিয়েবাড়ি থেকে ফেরার পথে নৃত্যশিল্পীকে গণধর্ষণ, ৫ যুবক কারাগারে
বাগেরহাটের মোল্লাহাটে বিয়েবাড়ি থেকে ফেরার পথে এক নৃত্যশিল্পীকে গণধর্ষণের অভিযোগে চার যুবককে আটক করে পুলিশে দিয়েছেন স্থানীয়রা। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে আরও এক অভিযুক্তকে আটক করেছে পুলিশ। গত শুক্রবার (১২ এপ্রিল) গভীর রাতে মোল্লাহাট উপজেলার ঘাটবিলা এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরপূর্বক শনিবার (১৩ এপ্রিল) বিকেলে আদালতে সোপর্দ করা হলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আছাদুল ইসলাম আসামিদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
বিজ্ঞাপন
আটককৃতরা হলেন- আরমান শেখ (১৯), রাজিব শেখ (১৯), সোহাগ (১৮), নাসিম মোল্লা (১৯) ও করিম (২২)। এদের বাড়ি মোল্লাহাট উপজেলার কাহালপুর গ্রামে।
ওই নৃত্যশিল্পীর বাড়ি বাগেরহাট সদর উপজেলায়। তিনি স্বামী সন্তানসহ ফকিরহাট উপজেলা সদরে ভাড়া থাকতেন।
পুলিশ জানায়, শুক্রবার (১২ এপ্রিল) রাতে মোল্লাহাট উপজেলার সরসপুর গ্রামে হৃদয়ের বাড়িতে বিয়ে উপলক্ষ্যে নাচতে আসেন ওই নৃত্যশিল্পী। নাচ শেষে রাত সাড়ে ১১টার দিকে ওই নারী ও তার স্বামীকে ভিন্ন ভিন্ন মোটরসাইকেলে করে ফকিরহাটের উদ্দেশ্যে রওনা হন কয়েকজন যুবক। যুবকরা ওই নারীকে এক সড়কে এবং তার স্বামীকে ভুল বুঝিয়ে অন্য সড়কে নিয়ে যান। একপর্যায়ে তারা ওই নৃত্যশিল্পীকে জোরপূর্বক ঘাটবিলা এলাকায় উপজেলা চেয়ারম্যান শাহিনূল আলম ছানা মিয়ার জমিতে থাকা পরিত্যাক্ত টিনশেডের ঘরে নিয়ে যান। সেখানে আটজন মিলে ওই নারীকে ধর্ষণ করেন। স্থানীয়রা টের পেয়ে অভিযুক্ত চারজনকে আটক করে টহলরত হাইওয়ে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। পরে মোল্লাহাট থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে আরও এক অভিযুক্তকে আটক করে। এ ঘটনায় ওই নারী বাদী হয়ে আটজনকে আসামি করে মোল্লাহাট থানায় মামলা করেন। অন্য আসামিদের আটক করতে পুলিশের অভিযান চলছে।
মোল্লাহাট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত করমকর্তা (ওসি) এসএম আশরাফুল আলম বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় ওই পাঁচজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ওই নারীকে বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
শেখ আবু তালেব/আরএআর