বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেছেন, এবারের ঈদ ছিল নিরানন্দ। মানুষের মনে আনন্দ নেই। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিসহ অর্থনৈতিক সংকটে মানুষের কাছে ঈদ ‘পূর্ণিমার চাঁদ ঝলসানো রুটি’র মতো মনে হয়েছে। তাদের কাছে ঈদ ছিল নিরানন্দ, হতাশা, কষ্টের। এসবের জন্য জোরপূর্বক ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দায়ী।

শনিবার (১৩ এপ্রিল) বিকেলে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটের ধারা বাজারে দলীয় কার্যালয়ে নেতাকর্মী ও জনসাধারণের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রিন্স বলেন, সরকারের ব্যর্থতা, দুর্নীতি, লুটপাটে মানুষের জীবন-সংসার তছনছ হয়ে যাচ্ছে। এসব নিয়ে তাদের কোনো মাথাব্যথা নাই। মিথ্যাচার ও অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে জনদৃষ্টি ভিন্ন দিকে নিতে ও বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে ব্যস্ত তারা।

ঈদের দিনে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, রমজান মাসে আওয়ামী লীগের ইফতার বিতরণ ওবায়দুল কাদেরসহ দু’একজন নেতার ফটোসেশনে সীমাবদ্ধ ছিল। গ্রাম-শহরের দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের পাশে তাদের দেখা যায়নি। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা দুর্নীতি, লুটপাট, মজুতদারি, চোরাচালানে ব্যস্ত ছিল। বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা নিজেদের খরচ বাঁচিয়ে অসহায় জনসাধারণসহ নেতাকর্মীদের নিয়ে গণইফতার করেছে এবং ইফতার, ঈদ ও খাদ্য সামগ্রীও বিতরণ করেছে।

এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে জনগণ অধিকার হারায়, নিপীড়নের শিকার হয়, দুর্নীতি-লুটপাটের কবলে পড়ে সর্বস্বান্ত হয়ে আত্মহননের পথ বেছে নেয়। সাম্প্রতিক কয়েকটি আত্মহত্যা প্রমাণ করে তারা জনগণকে লাশ, অশান্তি, মানবেতর জীবন, ঘরে ঘরে বোবাকান্না, দুর্নীতি, লুটপাট ছাড়া কিছুই দিতে পারেনি। আর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আলাদিনের চেরাগ পেয়ে নিজেরা আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়েছে, দেশে-বিদেশে অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন। সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দিয়ে নিজেদের ব্যর্থতা আড়াল করা যাবে না।

ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য আরফান আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজিম উদ্দিন, হালুয়াঘাট উপজেলা বিএনপি নেতা, ধারা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজান, বিএনপি নেতা আনোয়ার হোসেন খান সেলিম, আলতাফ হোসেন, এমদাদ হোসেন, মোতালেব হোসেন খান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

উবায়দুল হক/এসএসএইচ