পার্বত্য জেলা বান্দরবানে সাম্প্রতিক সময়ে রুমা ও থানচি উপজেলায় পাহাড়ি সশস্ত্র সংগঠন কেএনএফ এর হামলায় ব্যাংক ডাকাতি, অস্ত্র লুটের ঘটনায় উপজেলাগুলোতে যৌথ বাহিনীর অভিযান চলমান আছে।

এদিকে রুমা উপজেলায় সাম্প্রতিক সময়ে যৌথ বাহিনীর অভিযান পরিচালনাকালে উপজেলার পর্যটন এলাকাগুলোতে যেকোনো ধরনের পর্যটক ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করছে স্থানীয় প্রশাসন। গত ৯ এপ্রিল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ দিদারুল আলম স্বাক্ষরিত জেলা আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও সমন্বয় সংক্রান্ত কোর কমিটির সিদ্ধান্তের আলোকে দেওয়া আদেশের মাধ্যমে বিষয়টি জানানো হয়। পত্রের মাধ্যমে আরও জানানো হয়, যৌথ অভিযান পরিচালনাকালে রুমা উপজেলার পর্যটন এলাকাসমূহে যেকোনো ধরনের পর্যটক ভ্রমণ নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।
 
যৌথ অভিযান পরিচালনাকালে কোনো হোটেল-মোটেলে পর্যটককে রুম ভাড়া দেওয়া যাবে না। যৌথ অভিযান পরিচালনাকালে কোনো ট্যুরিস্ট গাইড পর্যটকদের কোনো পর্যটন কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া যাবে না। যৌথ অভিযান পরিচালনাকালে কোনো জীপ গাড়ি পর্যটকদের কোনো পর্যটন কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া যাবে না। যৌথ অভিযান পরিচালনাকালে নৌপথে পর্যটকদের কোনো পর্যটন কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া যাবে না। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সংশ্লিষ্টদের এ সকল নিতিমালা অনুসরণের জন্য বলা হয়েছে স্থানীয় প্রশাসন থেকে।

এদিকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে সুনির্দিষ্টভাবে পর্যটক ভ্রমণের ক্ষেত্রে নো নিষেধাজ্ঞা এখনো প্রদান করা হয়নি। পর্যটকরা নির্বিঘ্নে জেলা সদরসহ আশপাশের পর্যটন কেন্দ্রগুলো ভ্রমণ করতে পারবেন তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অনুমতি সাপেক্ষে।

প্রসঙ্গত, এখন পর্যন্ত রুমা ও থানচি উপজেলায় যৌথ অভিযানে কেএনএফের সহযোগী লাল লিয়ান সিয়াম বম ও সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির প্রধান সমন্বয় চেওসিম বমসহ পর্যায়ক্রমে ১৮ জন মহিলা ও ৩৭ জন পুরুষসহ মোট ৫৫ জনকে গ্রেপ্তার পরবর্তী কারাগারে পাঠানো হয়েছে। যৌথ অভিযানে সশস্ত্র সংগঠনটির সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সম্পৃক্ততার অভিযোগে ১৯ জন নারী এবং ৩৯ জন পুরুষসহ ৫৮ জনকে আটক করে যৌথ বাহিনী। এখন পর্যন্ত ৯টি মামলায় ৫৫ জন কারাগারে আছেন।

শহীদুল ইসলাম/এমএএস