রমজানের রোজা কবুলের ফরিয়াদ ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনা করে শরীয়তপুরের কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে জেলার প্রধান ঈদের জামাতসহ প্রায় আড়াই হাজার ঈদগাহ ও মসজিদে ঈদুল ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৮টায় শরীয়তপুর পৌর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে প্রধান জামায়াত ও সাড়ে আটটায় দ্বিতীয় জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়।

শরীয়তপুরে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাতের ইমামতি করেন জেলা মডেল মসজিদের ইমাম ও খতিব মুফতি মাওলানা ওয়ালী উল্লাহ। দ্বিতীয় জামাতের ইমামতি করেন জেলার কেন্দ্রীয় মসজিদের ইমাম ও খতিব মুফতি মাওলানা মোহাম্মদ আবুল কালাম।

ইসলামিক ফাউন্ডেশন ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, জেলার কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে অনুষ্ঠিত পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজের দুইটি জামাতে প্রায় ৫ হাজারের বেশি মুসল্লি অংশ নিয়েছেন। কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে শরীয়তপুর-১ (পালং-জাজিরা) আসনের সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন অপু, জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ নিজাম উদ্দিন আহম্মেদ, শরীয়তপুর সদর পৌরসভার মেয়র অ্যাডভোকেট পারভেজ রহমান জনসহ সর্বস্তরের মুসল্লিরা ঈদগাহে এসে একে অপরের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। এছাড়াও জেলার প্রায় ২ হাজার ৫০০ ঈদগাহ ও মসজিদে মুসল্লিরা ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন।

 নামাজ শেষে কোলাকুলি করছেন শরীয়তপুর-১ আসনের সাংসদ ইকবাল হোসেন অপু ও জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ নিজাম উদ্দিন আহাম্মেদ। ছবি : ঢাকা পোস্ট

পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ পড়তে এসে শরীফুল আলম ইমন ঢাকা পোস্টকে বলেন, পবিত্র রমজানের রোজা রেখে ঈদের নামাজ পড়লাম। ভেদাভেদ ভুলে সকলে এক সঙ্গে ঈদের নামাজ আদায় করেছি। পরিচিত বন্ধুবান্ধব ও অনেক আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে দীর্ঘদিন পরে দেখা হয়েছে। ভেদাভেদ ভুলে ঈদুল ফিতরের আনন্দ নিয়ে সুন্দরভাবে সকলে বসবাস করবে, এটাই আমার প্রত্যাশা।

শরীয়তপুর সদর পৌরসভার মেয়র অ্যাডভোকেট পারভেজ রহমান জন ঢাকা পোস্টকে বলেন, শান্তি ও সম্প্রীতির বার্তা নিয়ে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে বর্ণ বৈষম্য ভুলে সবাই এক সারিতে দাঁড়িয়ে পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিরা। দীর্ঘ এক মাস আত্মসংযমের পর ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে মুসল্লিরা যেভাবে এক সারিতে দাঁড়িয়ে নামাজ পরেছেন, সেভাবে আগামি দিনগুলো সুখে-দুঃখে একে অপরের পাশে থাকবেন বলে আমার প্রত্যাশা।

শরীয়তপুরের ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক কৃষিবিদ ড. মুহাম্মদ আবু তালহা ঢাকা পোস্টকে বলেন, এক মাস আত্মসংযম করে মুসল্লিরা ঈদের নামাজ পড়েছেন। ঈদের আনুষ্ঠানিক সূচনা ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে শুরু হয়। নামাজের আগে ও পরে সকল ভেদাভেদ ভুলে কোলাকুলির মধ্য দিয়ে আনন্দ প্রকাশ করে সবাই। এই আনন্দ সম্প্রীতি ও শান্তির বার্তা দেয়। আল্লাহ আমাদেরকে সম্প্রীতি ও শান্তির জীবনে চলার তাওফিক দিক।

সাইফ রুদাদ/এএএ