বরগুনায় হরিণের সাড়ে ৫ মণ মাংস মাটি চাপা দেওয়া হয়েছে
বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলায় অভিযান চালিয়ে তিনটি হরিণের মাথাসহ প্রায় সাড়ে পাঁচ মণ (২২০ কেজি) হরিণের মাংস উদ্ধার করেছে পাথরঘাটা কোস্টগার্ড। এ সময় হরিণ শিকার ও মাংস পাচারে জরিত তিনজনকে আটক করা হয়।
সোমবার (৮ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পাথরঘাটার হরিণঘাটা সংলগ্ন বিষখালী নদীতে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। আটকরা হলেন, খুলনার শরণখোলার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ বাজার নামক এলাকার বাসিন্দা মো. আলি হোসেনের ছেলে আফজাল হোসেন (৪৫), পাথরঘাটা উপজেলার চরদুয়ানী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের তাফালবাড়িয়া নামক এলাকার বাসিন্দা মো. আব্দুল হকের ছেলে মো. হারুন (৩৫) ও একই এলাকার মৃত আ. করিম হাওলাদারের ছেলে মো. আঃ মান্নান (৫৫)।
বিজ্ঞাপন
কোস্টগার্ড সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পাথরঘাটা কোস্টগার্ডের দক্ষিণ জোনের অধীনে বিসিজি স্টেশন কন্টিনজেন্ট কমান্ডার এম ফিরোজ্জামানের নেতৃত্বে পাথরঘাটার হরিণঘাটা সংলগ্ন বিষখালী নদীতে একটি অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় নদীতে থাকা একটি ইঞ্জিনচালিত কাঠের নৌকা তল্লাশি করলে প্রায় সাড়ে ৫ মণ হরিণের মাংস ও তিনটি হরিণের মাথা পাওয়া যায়। পরে উদ্ধারকৃত মাংস ও মাথাসহ কাঠের ট্রলারটি জব্দ করে ট্রলারে থাকা হরিণ শিকারে জড়িত তিনজনকে আটক করা হয়।
এ বিষয়ে পাথরঘাটা কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের মিডিয়া কর্মকর্তা এইচ এম এম হারুন অর রশীদ প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সাংবাদিকদের বলেন, আটক হরিণ শিকারি ও উদ্ধারকৃত হরিণের মাংসসহ সকল প্রকার আলামত পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পাথরঘাটা বন বিভাগের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ বিষয়ে পাথরঘাটা বনবিভাগের হরিণঘাটা বিট কর্মকর্তা আব্দুল হাই বলেন, উদ্ধারকৃত হরিণের মাথা ও মাংস আদালতের নির্দেশে কেরোসিন দিয়ে মাটি চাপা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আটক ৩ জনের বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে মামলা দায়ের করে পাথরঘাটা থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
আব্দুল আলীম/এমএএস