ঈদ মানে খুশি, ঈদ মানে আনন্দ। পরিবারের ছোট সদস্যদের এ আনন্দ বাড়িয়ে দেয় ঈদ সালামি। কে কতো সালামি পেলো এ নিয়ে তৈরি হয় হিসাব নিকেশ। আর নতুন টাকায় সালামি পেলে সে আনন্দ বেড়ে যায় আরও কয়েক গুণ। তাই ঈদের আগে নতুন টাকার চাহিদা বেড়ে যায়।

রোববার রংপুরের রাজা রামমোহন মার্কেটের সামনে গিয়ে দেখা যায়, নতুন টাকার বিভিন্ন বান্ডিলের পসরা সাজিয়ে বসেছে ব্যবসায়ীরা। তারা জানান, সারা বছরই এখানে নতুন টাকা পাওয়া যায়, তবে ঈদের আগে বেচা কেনা বেশি হয়।

এবার এ দোকানগুলো থেকে দুই টাকা ও পাঁচ টাকার নোটের এক হাজার টাকার বান্ডিলে ক্রেতাদের অতিরিক্ত গুণতে হচ্ছে ৪০০ টাকা, ১০ টাকার নোটের বান্ডিলে গুণতে হচ্ছে ২০০ টাকা, ২০ টাকার নোটে গুণতে হচ্ছে ১০০ টাকা।

মাদ্রাসা শিক্ষক আবু তাহের বসুনিয়া ঈদ করতে গ্রামের বাড়িতে যাবেন। ছোটদের জন্য নতুন টাকার নোট নিতে দোকানগুলোতে এসেছেন। তিনি বলেন, প্রতিবছরই নতুন টাকা সংগ্রহ করি। মূলত পরিবারের শিশুদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করার জন্য নতুন নোট কিনে থাকি। এবার দাম একটু বেশি চাচ্ছে। তবুও কিছু নতুন টাকার নোট নিয়েছি।

রংপুর সরকারি কলেজের ছাত্র জুনায়েদ ও খাইরুল এসেছেন নতুন টাকার নোট নিতে। দাম বেশি হওয়ায় বিভিন্ন দোকান ঘুরে একটি দোকান থেকে টাকা নিলেন। জুনায়েদ বলেন, সব দোকানেই একই দাম। কেউ নির্ধারিত টাকার কমে দিচ্ছে না। তাই দুই বন্ধু ভাগ করে টাকা নিয়েছি।

নতুন টাকা কিনতে এসেছেন বেসরকারি চাকরিজীবী জাকারিয়া রহমান। তিনি বলেন, ব্যাংকে অনেক ভিড় থাকে, লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। তাছাড়া এনআইডি কার্ডের ফটোকপিও জমা দেওয়া লাগে। ঝামেলা এড়াতে এখানে এসেছি। এসে দেখি বিক্রেতারা বেশি দাম চাচ্ছেন। গতবার টাকা ভেদে প্রতি বান্ডিলের জন্য ৭০ থেকে ১০০ টাকা বেশি দিয়ে পাওয়া যেতো। এবছর ৪০০ টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত চাচ্ছেন। দাম বেশি হলেও যারা নতুন টাকা নিতে এসেছেন তারা নিয়েই যাচ্ছেন।

ব্যবসায়িরা জানান, এবারের ঈদে বাংলাদেশ ব্যাংক সরাসরি নতুন টাকা না বিলিয়ে অন্যান্য ব্যাংককে দিয়ে বিলাচ্ছে। এতে একটা সিন্ডিকেট চক্র তৈরি হয়েছে। তাই ব্যাংক থেকে বিলানোর প্রতিদিনের নির্ধারিত টাকা দ্রুতই শেষ হয়ে যাচ্ছে। এই সংকটে বিভিন্ন জায়গা থেকে আমাদেরও বেশি দামে কিনতে হচ্ছে তাই বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। 
 
শিপন তালুকদার/এসকেডি