বান্দরবানের রুমা উপজেলায় সোনালী ব্যাংকে ডাকাতির ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠিন ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন।

গত মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাতে রুমা উপজেলায় সোনালী ব্যাংকের শাখায় হামলা, ডাকাতি, পুলিশ ও আনসার সদস্যদের অস্ত্র লুট, ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণের ঘটনায় আজ বুধবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান পুলিশের মহাপরিদর্শক।

এ সময় তিনি ব্যাংকের কর্মকর্তা কর্মচারী ও স্থানীয় জনসাধারণের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন। পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, কাল রাতে যে ঘটনা ঘটেছে, তা জানার জন্য এখানে এসেছি। আমরা বিভিন্ন জায়গায় ঘুরেছি, আমাদের লোকজনের ওপর আক্রমণ হয়েছে, মসজিদে তারা আক্রমণ করেছে। আনসার ক্যাম্পে আক্রমণ করে অস্ত্র নিয়ে গেছে। এ ছাড়া সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজারকে অপহরণ করা হয়েছে। এর সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কঠিন ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে আইজিপির রুমা পরিদর্শনকালে দুপুরের দিকে থানচি উপজেলার কৃষি ব্যাংক ও সোনালী ব্যাংকে হামলা চালায় একদল পাহাড়ি সশস্ত্র সন্ত্রাসী।

এ সময় ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জিম্মি করে সেনালী ব্যাংক থেকে ১৫ লাখ এবং কৃষি ব্যাংক থেকে ২ লাখ পঁয়তাল্লিশ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায় সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা। বিষয়টি নিশ্চিত করেন থানচি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মামুন। 

এ ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে আইজিপি বলেন, একটু আগেই বিষয়টি শুনেছি। আমরা সতর্ক ছিলাম বলেই তারা এসে পালিয়ে গেছে। আমরা এ বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করছি।

প্রতিটি ঘটনার বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়ে পুলিশ-প্রধান বলেন, যারা দুষ্কৃতকারী তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। পুলিশের সক্ষমতা একটি চলমান প্রক্রিয়া। একটা সময় তথাকথিত সোর্স নির্ভর তদন্ত হত। এখন আর আমরা সোর্স নির্ভর তদন্ত করি না। কারণ আমাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে।

তিনি বলেন, একসময় দেশে জঙ্গিবাদের হোলি খেলা চলেছে। সন্ত্রাসীদের দাপট ছিল। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে সাধারণ মানুষ, একজন স্কুল শিক্ষক সেখানে বসবাস করতে পারতেন না। তাদেরকে চাঁদা দিতে হয়েছে। এখন দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে উন্নয়নমূলক কার্যক্রম চালু হয়েছে। সারাদেশে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী জিরো টলারেন্সের যে নীতি, সেই নীতির আলোকে আমরা কাজ করছি।

প্রসঙ্গত, রুমার ঘটনার প্রেক্ষিতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন, পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন, বান্দরবান সেনা রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মেহেদী হাসান, বিজিবি, র‍্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন নেতৃবৃন্দ।

মো. শহীদুল ইসলাম/এএএ