ইউপি সদস্যের কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি, এসআই বরখাস্ত
কুমিল্লার মুরাদনগরে এক ইউপি সদস্যের কাছে মোবাইল ফোনে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবির অডিও রেকর্ড প্রকাশ হওয়ার পর হারুনুর রশিদ নামে পুলিশের এক উপপরিদর্শককে (এসআই) সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তিনি মুরাদনগর থানায় কর্মরত ছিলেন।
গত শনিবার (৩০ মার্চ) কুমিল্লার পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলেও বিষয়টি সোমবার (১ এপ্রিল) জানাজানি হয়। ঢাকা বিষয়টি নিশ্চিত করেন কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মুরাদনগর সার্কেল) রবিউল ইসলাম।
বিজ্ঞাপন
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কয়েকদিন আগে মুরাদনগর থানায় কর্মরত এসআই হারুনুর রশিদ তার ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন থেকে উপজেলার নবীপুর পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য আশরাফুল ইসলামের নিকট দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। অডিওতে ইউপি সদস্য আশরাফুল ইসলামকে বলতে শোনা যায়, দুই লাখ টাকা এই মুহূর্তে তার হাতে নেই এবং কী সমস্যা তিনি জানতে চান। এ সময় এসআই হারুনুর রশিদ বলেন, এ ব্যাপারে আমি কিছু বলতে পারব না, সব স্যারে (ওসি) জানে। তারপর আশরাফুল কয়েক দিনের সময় চাইলে এসআই সরি বলে ফোন কেটে দেন। সেদিন রাতেই ইউপি সদস্য আরশাফুল ইসলামকে তার শ্বশুরবাড়ি থেকে চাঁদাবাজির অভিযোগে আটক করে পুলিশ। এদিকে আরশাফুলের কাছে এসআইয়ের চাঁদা দাবির অডিও রেকর্ড প্রকাশ হলে সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
এরপর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মুরাদনগর সার্কেল) রবিউল ইসলাম বিষয়টি তদন্ত করে চাঁদা দাবির সত্যতা পেয়ে পুলিশ সুপার বরাবর ২৫ মার্চ প্রতিবেদন দেন। এই প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান এসআই হারুনুর রশিদকে ৩০ মার্চ সাময়িক বরখাস্ত করে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করেন।
মুরাদনগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রভাষ চন্দ্র ধর ঢাকা পোস্টকে বলেন, এসআইয়ের চাঁদা দাবির বিষয়ে আমি জানি না। সে নিজে থেকে আমার নাম ব্যবহার করেছে। এ জন্য তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মুরাদনগর সার্কেল) রবিউল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর পুলিশ সুপার অভিযুক্ত এসআইকে সাময়িক বরখাস্ত করেছেন।
আরিফ আজগর/আরএআর