নেত্রকোণার শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ে গাড়িচালক পদে চাকরি দেওয়ার নামে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে করা প্রতারণার মামলায় এসএম সাজ্জাদুল হক সবুজ (৫৫) নামের এক শিক্ষককে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

রোববার (৩১ মার্চ) নেত্রকোণার মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক মোশতাক আহমেদ তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বলে জানান আদালতের জিআরও অভিজৎ পান্ডে।

কারাগারে যাওয়া শিক্ষক এসএম সাজ্জাদুল হক সবুজ নেত্রকোণার বারহাট্টা উপজেলার আশিয়ল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। আর বাদী আল আমিন (২৬) বারহাট্টা উপজেলার বিক্রমশ্রী গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে।

মামলায় বলা হয়, শিক্ষক সাজ্জাদুল ও আল আমিন পূর্বপরিচিত। সাজ্জাদুলের পরামর্শে শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ে গাড়িচালক পদে আবেদন করেন আল আমিন। ২০২৩ সালের শুরুতে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে ঘুষ বাবদ পাঁচ লাখ টাকা নেন সাজ্জাদুল। শর্ত অনুযায়ী চাকরি না হলে টাকা ফেরত দেওয়ার কথা থাকলেও তা দেননি তিনি।

এ ঘটনায় চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি নেত্রকোণার অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম মো. কামাল হোসাইনের আদালতে প্রতারণার মামলা করেন আল আমিন। পরে ২০ ফেব্রুয়ারি আদালত এসএম সাজ্জাদুল হাসান সবুজের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করেন। তখন সাজ্জাদুল উচ্চ আদালত থেকে ছয় সপ্তাহের জামিন পান।

বাদী আল আমিন সাংবাদিকদের বলেন, চাকরির আশায় সাজ্জাদুলকে এলাকার অনেকের সামনে টাকা দিয়েছি। চাকরি না হলে তিনি টাকা ফেরত দেবেন বলেছিলেন। চাকরি হয়নি কিন্তু টাকাও ফেরত দিচ্ছেন না। তাই মামলা করেছি।

মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী মীর্জা হুমায়ুন বলেন, এসএম সাজ্জাদুল হক এর আগে উচ্চ আদালত থেকে ছয় সপ্তাহের জামিন নিয়েছিলেন। জামিনের শর্তানুযায়ী আজ রোববার নেত্রকোণা মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে বিচারক তা নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

চয়ন দেবনাথ মুন্না/এমজেইউ