তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে আজিজুল হক (৪৫) নামের পুলিশের এক কর্মকর্তাকে আটক করা হয়েছে। শনিবার (২৪ এপ্রিল) সকালে যশোর শহরের বারান্দিপাড়া এলাকা থেকে পুলিশ তাকে আটক করে।

এ ঘটনায় ওই দিন রাত ১০টার দিকে যশোর কোতোয়ালি থানায় ধর্ষণের একটি মামলা করেছেন ধর্ষণের শিকার নারী।

আটক আজিজুল হক পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) পদে কর্মরত। তিনি ঢাকা এপিবিএন থেকে সদ্য পুলিশের খুলনা রেঞ্জে বদলি হয়েছেন। তবে এখনো যোগদান করেননি। তিনি সাতক্ষীরার তালা উপজেলার সুরুরিয়া গ্রামের মো. আনোয়ারুল হকের ছেলে।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালের ২৭ ডিসেম্বর আজিজুল হকের সঙ্গে যশোর শহরের ওই নারীর বিয়ে হয়। চাকরির সুবাদে আজিজ কর্মস্থলে থাকতেন। মাঝেমধ্যে নারীর বাড়িতে আসতেন। এর মধ্যে আজিজুল ২০২০ সালের ১৪ ডিসেম্বর সাতক্ষীরায় আরেক মেয়েকে বিয়ে করেন।

পরে ২০২১ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি প্রথম স্ত্রীকে তালাক দেন আজিজুল। এরপর শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) রাত একটার দিকে আজিজুল নারীর বাড়িতে গিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন। আজিজুল শৌচাগারে (ওয়াশরুম) ঢুকলে নারী ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে পুলিশের সাহায্য চান। পরে কোতোয়ালি থানার পুলিশ গিয়ে নারীকে উদ্ধার করে। একই সঙ্গে আজিজুলকে আটক করে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তাজুল ইসলাম বলেন, তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীর সঙ্গে এসআই আজিজুল হক শারীরিক সম্পর্ক করেছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এ ঘটনায় ধর্ষণের মামলা হয়েছে। ওই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

তিনি বলেন, হটলাইন ৯৯৯ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ পাঠিয়ে আজিজুলকে আটক করা হয়। কিন্তু ওই নারী মামলা করতে রাজি ছিলেন না। আপস করে আর্থিক সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু ধর্ষণের অভিযোগ আপসযোগ্য নয়। সে কারণে মামলা করা হয়েছে।

জাহিদ হাসান/এনএ