জবি শিক্ষার্থী অবন্তিকার আত্মহত্যা
সহকারী প্রক্টর ও শিক্ষার্থী আম্মানকে কুমিল্লার আদালতে নেওয়া হচ্ছে
ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় আটক সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকীকে কুমিল্লায় নেওয়া হয়েছে।
রোববার (১৭ মার্চ) বিকেলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাছে থেকে তাদেরকে গ্রহণ করে কুমিল্লা জেলা পুলিশের একটি দল। পরে তাদেরকে নিয়ে কুমিল্লার পথে রওনা দেন।
বিজ্ঞাপন
আম্মান সিদ্দিকী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩তম ব্যাচের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী।
কুমিল্লা জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্রে ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তারা জানিয়েছে, রোববার দুপুরে ডিএমপি কমিশনারের সংবাদ সম্মেলনের পর কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের একটি দলের কাছে আটককৃতদের হস্তান্তর করা হয়। পরে তাদেরকে নিয়ে কুমিল্লার পথে রওনা দেওয়া হয়েছে। তারা এখনও পথে আছে। কুমিল্লায় পৌঁছাতে আরও সময় লাগবে। কাল সোমবার তাদেরকে আদালতে তোলা হবে।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার (১৫) মার্চ রাতে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে সহকারী প্রক্টর ও আম্মান সিদ্দিকী নামের এক সহপাঠীকে দায়ী করে গলায় ফাঁস নেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকা। স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। শনিবার ময়নাতদন্ত শেষে বেলা ৩টার দিকে প্রথম জানাজা, পৌনে চারটার দিকে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে বাবার কবরের পাশে দাফন করা হয় অবন্তিকাকে।
নিহত অবন্তিকা কুমিল্লা নগরীর শাসনগাছা এলাকার মরহুম জামাল উদ্দিনের মেয়ে। তার বাবা মরহুম জামাল উদ্দিন কুমিল্লা সরকারি কলেজের পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক ছিলেন। তার মা তাহমিনা শবনম কুমিল্লা পুলিশ লাইনস উচ্চ বিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন শিক্ষক ছিলেন। ২০২৩ সালের ১২ এপ্রিল তার বাবা অধ্যাপক জামাল উদ্দিন মৃত্যুবরণ করেন। অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনার পর শুক্রবার রাতে তার মা তাহমিনা শবনম বাদী হয়ে সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও আম্মান সিদ্দিকীকে আসামি করে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় অভিযুক্ত দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ।
আরিফ আজগর/এএএ