নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত জুড়ে নীরবতা, তবে কাটেনি আতঙ্ক
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত জুড়ে এখন শুনশান নিরবতা, মিয়ানমার অংশে নেই কোনো গোলাগুলির শব্দ। গত ৫ দিন ধরে সীমান্তে গোলাগুলি বা বিকট শব্দ ভেসে আসেনি ওপার থেকে এপারে। তবে গোলাগুলির ঘটনা না ঘটলেও সীমান্তের কাছে বসবাসকারীদের মাঝে রয়ে গেছে আতঙ্ক ও উৎকণ্ঠা।
১৩ মার্চ ভোর থেকে রোববার (১৭ মার্চ) বেলা ১২টা পযর্ন্ত ঘুমধুম থেকে জামছড়ির কোনো সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে বিস্ফোরণের কোনো আওয়াজ শোনা যায়নি।
সীমান্তে বসবাসকারী এক প্রবীণ মুরুব্বি জানান, মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ বিজিপির ৬২ কিলোমিটার সীমান্তের যত অবজারভেশন পোস্ট ছিল তার সবগুলো দখলে নিয়েছে আরকান আর্মি। মিয়ানমার সেনাবাহিনী খুইয়ে যাওয়া অবজারভেশন পোস্টগুলো আবার উদ্ধারের জন্য হামলা, অভিযান, ভারী অস্ত্র ব্যবহারের গতি বাড়াতে পারে বলে আশঙ্কায় আছি।
বিজ্ঞাপন
এদিকে গত সোমবার বিকেলে মিয়ানমার থেকে ছোড়া গুলিতে আহত (গুলিবিদ্ধ) ইউপি মেম্বার সাবের আহমদের কোমরের পেছনের অংশ থেকে একটি বুলেট বের করা হয়েছে। কক্সবাজার সদর হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের ডা. শাহ আলম এ বুলেট বের করেন। তবে এখনো পর্যন্ত তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এদিকে ঘুমধুম ইউপি সদস্য দিল মোহাম্মদ ভুট্টো বলেন, আজ সকাল থেকে এখন পর্যন্ত সীমান্ত পরিস্থিতি খুব ভালো। কোনো ধরনের শব্দ আমাদের কানে আসেনি।
সীমান্তের কাছাকাছি বসবাসকারী স্থানীয় জামছড়ির আবদুল হামিদ, চাকঢালার শামশুল আলম, তুমব্রুর সরোয়ার বলেন, বর্ডার সাইট শান্ত আছে। যেন সম্পূর্ণ স্বাভাবিক হয়ে যায় এই দোয়া করি।
নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আবছার ইমন বলেন, বর্তমান সীমান্ত পরিস্থিতি ভালো আছে। বিজিবি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সীমান্তে নজরদারি বৃদ্ধির পাশাপাশি টহল জোরদার করেছেন।
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জনপ্রতিনিধি বলেন, নাইক্ষ্যংছড়ি বিজিবি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্দিকে কাপড় ঘেরাও করে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমার সীমান্ত বাহিনীর ১৭৭ জন সদস্যদের রাখা হয়েছে। ওদিকে সাধারণের চলাচল সীমাবদ্ধ করা হয়েছে।
মিয়ানমারের বিজিপির আশ্রয় নেওয়া ১৭৭ সদস্যকে কবে নাগাদ হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরু হবে তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে তাদের পূর্ণাঙ্গ পরিচয়ের ডাটা এন্ট্রি কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে বলে বিজিবির একাধিক সূত্র মতে জানা যায়।
শহীদুল ইসলাম/আরকে