টিকিট কেটেও কুয়েত যাওয়া হলো না মাসুদের, সড়কে গেল প্রাণ
জীবিকার তাগিদে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কুয়েতে যাওয়ার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করে বিমানে ওঠার ঠিক একদিন আগেই সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন আবদুল্লাহ আল মাসুদ (৩৭)।
বুধবার (১৩ মার্চ) ফেনীর ফতেহপুর এলাকায় সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষের তিনি নিহত হন। এ ঘটনায় অটোরিকশায় থাকা মাসুদের ভাইয়ের স্ত্রীসহ আরও দুই নারী গুরুতর আহত হয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
নিহত মাসুদ চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আলকরা ইউনিয়নের দত্তসার এলাকার মো. আবুল কালামের ছেলে। পরিবারে তার স্ত্রী, ৫ বছরের এক মেয়ে ও ৫ মাস বয়সী এক ছেলে রয়েছে।
এ ঘটনায় আহতরা হলেন, মাসুদের প্রবাসী ভাইয়ের স্ত্রী নাসরিন সুলতানা টুম্পা (৩১), মোহাম্মদ আলী এলাকার শাহেনা বেগম (৪৫) এবং শহরের বিরিঞ্চি এলাকার হোসনে আরা বেগম (৬৩)।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বুধবার দুপুরে ফেনী থেকে মোহাম্মদ আলী বাজার যাওয়ার পথে ফতেহপুর মটবাড়িয়া ব্রিকফিল্ডের সামনে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশার সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা মাইক্রোবাসের সংঘর্ষ হয়। এতে অটোরিকশার যাত্রীরা গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মাসুদের মৃত্যু হয়।
আলাউদ্দিন নামে নিহত মাসুদের এক স্বজন ঢাকা পোস্টকে বলেন, মাসুদ আগে দুবাই প্রবাসী ছিল। গত ৫ বছর ধরে তিনি দেশে আছেন। এবার কুয়েতে যাওয়ার জন্য সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছিল। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) বিকেল ৫টায় তার ফ্লাইট। কুয়েতে থাকা এক মামার জন্য কিছু কেনাকাটা করে বাড়ি ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় তিনি নিহত হয়েছেন।
ফেনী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. মো. আসিফ ইকবাল ঢাকা পোস্টকে বলেন, গুরুতর আহত অবস্থায় ৪ জনকে হাসপাতালে আনা হয়। তাদের মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। অন্যরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
ফেনী মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ঘটনাস্থল থেকে মাইক্রোবাসটি পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। নিহতের মরদেহ ফেনী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি।
তারেক চৌধুরী/আরকে