মিয়ানমারে গোলাগুলি, নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে বাংলাদেশি গুলিবিদ্ধ
বান্দরবানে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে সাবের হোসেন নামে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) একজন সদস্য গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। সোমবার (১১ মার্চ) বিকেল ৫টার দিকে তিনি মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা বিজিপির সদস্যদের দেখতে গেলে গুলিবিদ্ধ হন তিনি। পরে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নেওয়া হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নুরুল আবছার ইমন বলেন, মিয়ানমারে সামরিক জান্তা বাহিনীর সঙ্গে স্বাধীনতাকামী সংগঠন আরকান আর্মির মধ্যে গোলাগুলির ঘটনায় ছাবের হোসেন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাকে জামছড়ি বিওপিতে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
এদিকে নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের জামছড়ি সীমান্ত দিয়ে অনবরত গোলাগুলি ও ভারী অস্ত্রসহ মর্টার শেলের আওয়াজে স্থানীয়রা আতঙ্কে আছেন। গতকাল রোববার (১০ মার্চ) রাত থেকেই নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে উত্তেজনা বেড়ে যায়।
স্থানীয় এক ইউপি সদস্য বলেন, নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড জাংছড়ি সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের অভ্যন্তরে অগণিত মর্টার ও আর্টিলারি বোমা বিস্ফোরণ হয়েছে। এসব গোলার আওয়াজে এপার একটু পরপর কেঁপে উঠছিল।
এদিকে মিয়ানমারে চলমান সংঘর্ষের জেরে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ২৯ সদস্য সোমবার বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম।
তাদেরকে নাইক্ষ্যংছড়ির নুরুল আলম কোম্পানির চা বাগান থেকে জামছড়ি বিওপি বিজিবি ক্যাম্পের নিচে রাখা হয়। পরে সেখান থেকে তাদের নিরস্ত্র করে ১১ বিজিবি ব্যাটালিয়ন সদরে ২টি বিজিবির গাড়িতে করে নিয়ে আসা হয়।
প্রসঙ্গত, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চলমান সংঘর্ষের জেরে এর আগেও দেশটির সীমান্তরক্ষীসহ বিভিন্ন বাহিনীর ৩৩০ জন সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিলেন। পরে দুই দেশের সমঝোতার মাধ্যমে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজারের উখিয়া ইনানী নৌ-বাহিনীর জেটিঘাট থেকে জাহাজে করে তাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
মো. শহীদুল ইসলাম/এএএ