সুমন মিয়া ও খোকন

ময়মনসিংহ নগরীর চরজেলখানা বেড়িবাঁধ থেকে দিদারুল ইসলাম রুবেল (৩০) নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধারের দেড় মাস পর হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ ঘটনায় সুমন মিয়া (২৫) ও খোকন (২৫) নামে দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

তারা দুজনই হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দিয়ে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) বিকেলে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ।

তিনি বলেন, গত ৩ মার্চ রাতে রুবেল নামে ওই যুবকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধারের পর ৪ মার্চ কোতোয়ালি মডেল থানার মামলা দায়ের করা হয়। এরপর ১৩ মার্চ হত্যার রহস্য উদঘাটনের জন্য মামলাটি জেলা গোয়েন্দা শাখায় ন্যস্ত করায় হয়। পরে পুলিশ সুপারের দিক নির্দেশনায় তদন্ত কার্যক্রম শুরু করে ডিবি।

ওসি আরও বলেন, দীর্ঘ তদন্তের পর অবশেষে হত্যার রহস্য উদঘাটন ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় আসামি শনাক্ত হয়। পরে অভিযান চালিয়ে বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে আসামি সুমন মিয়াকে ভালুকার ড্রাইভারপাড়া এলাকা থেকে এবং রাত সাড়ে ১০টার দিকে সদরের চরভবানীপুর কোনাপাড়া এলাকা থেকে আরেক আসামি খোকনকে গ্রেফতার করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে ডিবির ওসি শাহ কামাল আকন্দ বলেন, গ্রেফতার দুই আসামিই এ হত্যার জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। তারা জানান, নিহত রুবেলের কাছে মাদক বিক্রির টাকা পাওনা নিয়ে বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে ছুরিকাঘাত করে তাকে হত্যা করে লাশ বেড়িবাঁধে ফেলে চলে যান হত্যাকারীরা।

এ ঘটনায় শুক্রবার দুপুরে গ্রেফতার দুই আসামিকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুল ইসলামের ১ নম্বর আমলি আদালতে হাজির করা হয়। পরে তারা হত্যাকাণ্ডর বর্ণনা দিয়ে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করেছেন বলেও জানান জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এ কর্মকর্তা।

উবায়দুল হক/এমএসআর