টাঙ্গাইলে গৃহবধূকে চেয়ারম্যানের মারধর, ভিডিও ভাইরাল
টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার বহুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূরে আলম মুক্তার বিরুদ্ধে এক গৃহবধূকে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার একটি ভিডিও ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
এর আগে শনিবার (২ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে সখীপুর পৌরসভার জেলখানা মোড় এলাকায় ওই চেয়ারম্যানের বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে।
বিজ্ঞাপন
এ ঘটনায় রোববার (৩ মার্চ) বিকেলে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সখীপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ওই নারী। এ ছাড়া একই দিন উপজেলার কালীদাস বাজারে চেয়ারম্যানের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।
জানা গেছে, ভুক্তভোগী গৃহবধূ উপজেলার কালিদাস গ্রামের এক প্রবাসীর স্ত্রী। তিনি সখীপুর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকেন। একই এলাকায় বসবাস করেন বহুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূরে আলম মুক্তাও। দুইজনের মেয়েই স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী। সম্প্রতি চেয়ারম্যানের মেয়ে ও ওই নারীর মেয়ের মধ্যে তুচ্ছ একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে চেয়ারম্যানের স্ত্রী বিদ্যালয়ে গিয়ে ওই নারীর মেয়েকে গালিগালাজ করেন। এর বিচার চাইতে গেলে মারধরের শিকার হন ওই নারী।
ভিডিওতে দেখা যায়, ভুক্তভোগী ওই নারী চেয়ারম্যান নূরে আলম মুক্তার সঙ্গে উত্তেজিত হয়ে কথা বলায় প্রতিবেশী রুবেল (৩৫) এসে ওই নারীর সঙ্গে বাগবিতণ্ডা শুরু করেন। একপর্যায়ে রুবেল প্রথমে ওই নারী মারধর করে। এরপর চেয়ারম্যানও তাকে মারধর করেন।
ভুক্তভোগী ওই নারী বলেন, মেয়েকে হুমকি-ধামকি ও গালিগালাজের বিচার দিতে গেলে চেয়ারম্যান ও তার আরেক প্রতিবেশী রুবেল আমাকে মারধর করে। তারা এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি ও লাথি মেরে আমার শরীর জখম করে দিয়েছেন।
তবে ইউপি চেয়ারম্যান সরকার নূরে আলম মুক্তা বলেন, ওই নারী পরিকল্পিতভাবে আরেক নারীকে সঙ্গে করে নিয়ে এসেছিল। তিনি বাচ্চাদের স্কুলের তুচ্ছ বিষয় নিয়ে আমার বাসার গেটে লাথি মারে এবং নোংরা ভাষায় গালিগালাজ করে। পরে এক প্রতিবেশী প্রতিবাদ করলে ওই নারী প্রথমে প্রতিবেশীর গায়ে হাত তুলে। আর আমাকে ফাঁসাতে ভিডিওটি কেটে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আংশিক প্রকাশ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে সখীপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ শাহিনুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়ে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অভিজিৎ ঘোষ/এমজেইউ