নারায়ণগঞ্জে সেই মসজিদের পাশে বিস্ফোরণে দগ্ধ ১১
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় তিনতলা একটি বাড়িতে গ্যাস বিস্ফোরণে নারী ও শিশুসহ ১১ জন দগ্ধ হয়েছে। শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) ভোর ৬টার দিকে ফতুল্লার তল্লা এলাকার মডেল গার্মেন্টসের দক্ষিণ পাশে স্থানীয় মফিজুল ইসলামের তিনতলা বাড়ির তৃতীয় তলায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপপরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন।
বিজ্ঞাপন
বিস্ফোরণে দগ্ধ ব্যক্তিরা হলেন হাবিবুর রহমান, লিমন, সাথী, মীম, মাহিরা (৩ মাস), আলেয়া, সোনাহার, শান্তি, সামিউল, মনোয়ারা ও অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তি। তাদের মধ্যে লিমন, সাথী, মীম, মাহিরা (৩ মাস) ও আলেয়াকে ঢাকায় বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।
গত বছর ফতুল্লার পশ্চিম তল্লা মসজিদে জমে থাকা গ্যাস বিস্ফোরণে কেড়ে নিয়েছিল ৩৪ জনের প্রাণ।
প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিরা জানান, সাহরির সময় এ ঘটনা ঘটায় আশপাশের সবাই জেগে গিয়েছিল। অনেকে বালু, পানি দিয়ে তাৎক্ষণিক আগুন নেভানোর চেষ্টা করায় আগুন ছড়াতে পারেনি। তবে বিস্ফোরণে ভয়াবহতা এতটাই ছিল যে এ সময় ওই ফ্ল্যাটের এক পাশের দেয়ালও ধসে যায়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভানোসহ দগ্ধদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
ফ্ল্যাটের বাসিন্দা আবদুল্লাহ ঢাকা পোস্টকে জানান, ঘুমের মধ্যেই হঠাৎ বিকট শব্দে একটি দরজা ভেঙে আমার ওপর এসে পড়ে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই দেখি পাশের ঘরে আগুন এবং দুটি ঘরের দেয়াল ধসে পাশের তিনতলা ভবনের ছাদে পড়ে আছে। বের হয়ে দেখি একটি পরিবারেরই ছয়জন দগ্ধ অবস্থায় কাতরাচ্ছে।
উপপরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, বাড়িটির তৃতীয় তলায় বেশ কয়েকটি পরিবার বসবাস করে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, রাতে কেউ চুলার বার্নার বন্ধ না করেই ঘুমিয়ে পড়েন। এতে চুলা থেকে গ্যাস বের হয়ে রান্নাঘরসহ অন্যান্য ঘরে ছড়িয়ে জমাট বেঁধে থাকে। সাহরির সময় রান্নার জন্য চুলায় আগুন জ্বালালে গ্যাসের পাইপলাইনে বিস্ফোরণ ঘটে।
তিনি বলেন, এক শিশুসহ ছয় নারী ও চার পুরুষ আগুনে দগ্ধ হন। তাদের মধ্যে শিশুসহ পাঁচজনকে গুরুতর অবস্থায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়। ছয়জনকে সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
রাজু আহমেদ/এনএ