নাটোরের বড়াইগ্রামে অষ্টম শ্রেণীর এক স্কুলছাত্রীকে অপহরণ ও ধর্ষণের ঘটনায় ছয় যুবককে ১৪ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।

রোববার (৩ মার্চ) দুপুরে নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এ রায় দেন। রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. সিরাজুল ইসলাম। তবে আসামিরা সবাই পলাতক রয়েছেন।

সাজাপ্রাপ্তরা হলেন নাটোরের বড়াইগ্রামের জোয়ারী এলাকার ইউনুস আলীর ছেলে সুজাব আলী (২০), একই এলাকার আফেন মুন্সির ছেলে সুমন আলী (১৯), রকমান আলীর ছেলে মো. রফিক (২২), আব্দুস সামাদের ছেলে মো. ডাব্লু (২০), আতাহার আলী আতা (২৫) এবং রাজশাহীর পুঠিয়ার মতিউর রহমানের ছেলে ইমদাদুল হক (২৬)।

মামলা সূত্রে জানা যায়, আসামিরা ভুক্তভোগী মেয়েটিকে স্কুলে যাওয়ার সময় যৌন হয়রানিমূলক অশ্লীল কথাবার্তা ও অঙ্গভঙ্গি করত। এর একপর্যায়ে ২০০৯ সালের ৫ মে ওই স্কুলছাত্রীকে জোর করে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে পাশের একটি কলা বাগানে ধর্ষণ করে সুজাব আলী। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মেয়ের বাবা বাদী হয়ে পরের দিন ৬ মে সুজাব আলীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে বড়াইগ্রাম থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এরপর সুজাব আলী ও তার সহযোগীরা মামলা তুলে না নিলে ভুক্তভোগী পরিবারকে হত্যার হুমকি দেয়। পরে ভুক্তভোগীর বাবা তাদের বিরুদ্ধে আরেকটি অভিযোগ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ২০০৯ সালের ১২ মে আসামিরা অস্ত্রের মুখে ওই স্কুলছাত্রীকে মাইক্রোবাসে তুলে অপহরণ করে নিয়ে যায়। মেয়েকে খোঁজাখুজি করে না পেয়ে স্কুলছাত্রীর বাবা নাটোর জেলা ও দায়রা জজ কোর্টে মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ স্কুলছাত্রীকে উদ্ধারসহ অভিযুক্ত ছয় যুবককে গ্রেপ্তার করে। এরপর অভিযুক্তরা আদালত থেকে জামিনে মুক্ত হয়ে আত্মগোপনে চলে যায়। এ ঘটনায় পুলিশ তদন্ত শেষে ছয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়।

সিরাজুল ইসলাম বলেন, সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে দীর্ঘ ১৫ বছর পরে আদালত এ রায় দেন। আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের অনুপস্থিতিতেই এ রায় দেন বিচারক। 

গোলাম রাব্বানী/এএএ