ফরিদপুরে কাঠ ব্যবসায়ী এসকেন সরদার (৪৬) হত্যা মামলায় পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তিন আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।

রোববার (৩ মার্চ) বিকেল ৪টার দিকে ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক অশোক কুমার দত্ত এ আদেশ দেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- ফরিদপুরের সালথা উপজেলার দক্ষিণ আটঘর এলাকার বিশু শেখ (৪৪) ও মো. বিকুল সরদার (৩৪), পুটিয়া গ্রামের কামরুল মাতুব্বর (৩৯) ও রুবেল মাতুব্বর (২৯) এবং একই উপজেলার জয়কাইল গ্রামের সাধু ফরাজী (৩৪)। বেকসুর খালাস পাওয়া তিন আসামি হলেন- সালথার জয়কাইল গ্রামের ফরিদ মাতুব্বর (৩৪), এসকেন ব্যাপারী (৪৯) ও ফয়সাল খান (৩৪)।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ২০ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৭টার দিকে এসকেন সরদার বাড়ি থেকে বের হয়ে স্থানীয় পুটিয়া বাজারে যান। ওইদিন রাতে আর তিনি বাড়ি ফেরেননি। পরদিন সকালে পাশের জয়কাইল গ্রামের জয়নাল মোল্লার ফসলের জমি থেকে মাথা ও গলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্নসহ রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে সালথা থানার পুলিশ।

এ ঘটনায় পরদিন ২১ ডিসেম্বর এসকেনের ছেলে ইয়াছিন সরদার (২৮) বাদী হয়ে তিনজনের নাম উল্লেখ করে সালথা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ২০১৯ সালের ২৭ ডিসেম্বর সালথা থানা পুলিশের তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) আতিয়ার রহমান পাঁচজনের নামে অভিযোগপত্র জমা দেন। আদালতে ওই পাঁচজনের জবানবন্দিতে আরও তিনজনের নাম উঠে আসায় তাদেরও আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) মো. নওয়াব আলী মৃধা বলেন, আমরা সন্তুষ্ট। এ রায়ে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এর ফলে অপরাধীদের অপরাধ করে পার পাওয়ার সুযোগ নেই জেনে সমাজে অপরাধ প্রবণতা কমে আসবে।

জহির হোসেন/এমজেইউ