যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসমিদের প্রিজন ভ্যানে কারাগারে নেওয়া হচ্ছে। এ সময় তারা স্বজনদের হাত নেড়ে সান্ত্বনা দিচ্ছেন।

ঝিনাইদহে মাছচাষি শরিফুল ইসলাম টুলু হত্যা মামলার পাঁচ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

রোববার (৩ মার্চ) সকালে ঝিনাইদহের অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মো. বাহাউদ্দিন আহমেদ এ দণ্ডাদেশ প্রদান করেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০০৯ সালের ৭ সেপ্টেম্বর বিকেলে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার লাউদিয়া গ্রামের একটু পুকুরে মাছের খাবার দিয়ে বাড়ি ফিরেছিলেন ওই গ্রামের শরিফুল ইসলাম টুলু। সেসময় পূর্বশত্রুতার জের ধরে একই গ্রামের জাহিদুল ইসলাম, জসিম, খোকনসহ আরও কয়েকজন তাকে লোহার রড ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল ও পরে খুলনা মেডিকেলে ভর্তি করা হলে পরদিন মারা যান।

এ ঘটনায় ওই বছরের ৯ সেপ্টেম্বর নিহতের ভাই সরফুদ্দিন বাদী হয়ে ৯ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে দোষী প্রমাণিত হওয়ায় আজ আসামি জাহিদুল, খোকন, ইলিয়াস, জসিম ও সেলিমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করেন বিচারক। এ ছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় কফিল, হাসানুজ্জামান ওরফে রনি, রিপন ও জাহিদুল নামের চার আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।

মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) ইসমাইল হোসেন বাদশা ঢাকা পোস্টকে বলেন, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হবে এমনটাই আশা ছিল। কিন্তু মহামান্য আদালত আসামিদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন। আদালতের রায়ে আমরা সন্তুষ্ট।

আব্দুল্লাহ আল মামুন/এমজেইউ