রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ নামে সাত তলা ভবনের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় হবিগঞ্জের মাধবপুরের প্রবাসী উত্তম কুমার রায়ের স্ত্রী ও মেয়ে নিহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) তারা ওই ভবনের কাচ্চি ভাই রেস্তোরাঁয় খাবার আনতে গিয়ে অগ্নিকাণ্ডের কবলে পড়েন। 

নিহতরা হলেন-  মাধবপুর উপজেলার চৌমুহনী ইউনিয়নের বানেশ্বরপুর গ্রামের পোল্যান্ড প্রবাসী উত্তম কুমার রায়ের স্ত্রী রুবি রায় (৪০) ও তার মেয়ে বিয়াংকা রায় (১৭)। 

উত্তম কুমার রায়ের বড় ভাই বিঞ্চু রায় জানান, তার ছোট ভাই উত্তম কুমার রায় ১৯৯৬ সালে দক্ষিণ কোরিয়ায় হুন্দাই কোম্পানিতে ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত অবস্থায় সেখানে ফিলিপাইনের নাগরিক রুবি রায়কে বিয়ে করেন। পরবর্তীতে তিনি ওই কোম্পানির কাজের জন্য পোল্যান্ড যান। এ সময় তিনি স্ত্রী ও মেয়েকে দেশে রেখে যান। তারা ঢাকার মালিবাগে থাকতেন।

তিনি আরও জানান, খবর পেয়ে উত্তম কুমার রায় পোল্যান্ড থেকে দেশের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছেন। শুক্রবার রাতে তিনি ঢাকায় পৌঁছাবেন। শনিবার তার স্ত্রী ও মেয়ের মরদেহ নিয়ে মাধবপুর গ্রামের বাড়িতে আসবেন।

উত্তম কুমার রায়ের ভাবি অনিমা রায় জানান, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে রাত ৪টায় অবতরণ করবেন উত্তম কুমার রায়। সব কাগজপত্র ও অন্যান্য কাজ শেষ করে মরদেহ নিয়ে রওনা দিতে সকাল ৭টা-৮টা হবে। হবিগঞ্জ পৌঁছাতে দুপুর ১টা-২টা হতে পারে। স্থানীয় শ্মশানে তাদের দাহ করা হবে।

প্রসঙ্গত, গতকাল বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে রাজধানীর বেইলি রোডে অবস্থিত গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে আগুন লাগে। এতে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়। এছাড়া গুরুতর আহত ও দগ্ধ হয়েছেন অন্তত ২২ জন। এ ঘটনায় নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। 

আরএআর