হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে সহপাঠীদের ছুরিকাঘাতে কলেজছাত্র রাইসুল হক তাহসিন (১৯) নিহতের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় ৩০ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ২৫০/৩০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। এ ছাড়া সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় নবীগঞ্জ থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) বিজয় দেবনাথ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- ইনাতাবাদ গ্রামের মো. আশফাক আলীর ছেলে নাসির মিয়া (২৫), একই গ্রামের ছাদিক মিয়ার ছেলে আবু জাহেদ (৩৪), মৃত সমাই উল্লাহর ছেলে ফজল মিয়া (৩৮), মৃত খাফল উল্লার ছেলে ছুনু মিয়া (৩৪), সাজ্জাদ আলীর ছেলে জুবেদ মিয়া (২৪), মৃত ইস্কন্দর মিয়ার ছেলে বিল্লাল মিয়া (২৩), রুঘু মিয়ার ছেলে রাজু মিয়া (২৪), অনু মিয়ার ছেলে দিলদার (২৬), মালিক মিয়ার ছেলে খালেদ মিয়া (২৮), মৃত আব্দুল মন্নাফের ছেলে সোলেমান (৩৫), মৃত ফারাজ মিয়ার ছেলে মইন উদ্দিন (২১), মো. ফাহাদের ছেলে মো. মাফিন উদ্দিন (২০), আনমুনু গ্রামের হিযবু মিয়ার ছেলে তৌহিদ মিয়া (৩৫) ও মৃত এলাইছ মিয়ার ছেলে অন্তর মিয়া (২৬)।

জানা গেছে, বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় নবীগঞ্জ উপজেলা শহরে সহপাঠীদের হাতে কলেজছাত্র নিহতের ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ দেখা নিয়ে সংঘর্ষ শুরু হয়। ৬নং কুর্শি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সৈয়দ খালেদুর রহমান খালেদ ও নবীগঞ্জ পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনমনু গ্রামের মো. নানু মিয়ার লোকজনের মধ্যে এ সংঘর্ষ বাধে। দফায় দফায় সংঘর্ষ ও ইটপাটকেলের ঘটনায় রাজা কমপ্লেক্সসহ ২৫টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান এবং যানবাহন ভাঙচুর করা হয়।

সংঘর্ষে নবীগঞ্জ থানা পুলিশের ওসি (তদন্ত) গোলাম মুর্শিদ, এসআই পরিমলসহ সাতজন পুলিশ সদস্য আহত হন। অপরদিকে সংঘর্ষে সাংবাদিকসহ দুই পক্ষের প্রায় অর্ধশত লোক আহত হয়।

প্রসঙ্গত, নিহত রাইসুল হক তাহসিন নবীগঞ্জ সরকারি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিল। তিনি বানিয়াচং উপজেলার কালাইনজুড়া গ্রামের রাজন মিয়ার ছেলে।

এমজেইউ