ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ৩ বছরে সরকারের বাড়তি খরচ ১২ বিলিয়ন ডলার
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে গত তিন বছরে বাংলাদেশকে জ্বালানি তেলের জন্য অতিরিক্ত ১২ বিলিয়ন ডলার খরচ করতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি, ও খনিজসম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই ইলাহী চৌধুরী।
মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার আঙ্গারপাড়া ইউনিয়নের সুবর্ণখুলি এলাকায় সৌর বিদ্যুৎচালিত সেচ পাম্প পরিদর্শন শেষে তিনি এ তথ্য জানান।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, বিভিন্ন সময় পৃথিবীতে যে যুদ্ধ বিধ্বস্ত শুরু হয় তার প্রভাব আমাদের ওপর পড়ে। ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য গত তিন বছরে আমাদের অতিরিক্ত ১২ বিলিয়ন ডলার লেগেছে। এতে আমাদের রিজার্ভের ওপর চাপ পড়েছে। না হলে কিছুই হতো না।
ড. তৌফিক-ই ইলাহী চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী সবসময় কৃষকবান্ধব এবং চিন্তা করেন কীভাবে উদ্ভাবন করা যাবে। সাধারণ মানুষ ও কৃষকদের সাহায্য করা যায় কীভাবে... ওনার সমস্ত পরিকল্পনার এই মূল দর্শন।
জ্বালানি খাতে স্বনির্ভরতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করে উপদেষ্টা বলেন, সোলার ইরিগেশনকে সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে পারলে, কৃষকের জন্য সাশ্রয় হবে এবং কৃষিতে বিরাট বিপ্লব ঘটানো সম্ভব। পাশাপাশি বিদ্যুৎ ও জ্বালানির বিষয়ে স্বনির্ভরতা অর্জন করতে পারব। নিজেদের স্বাবলম্বী করতে আমরা সারা দেশে এটি ছড়িয়ে দিতে চাই। এটা প্রধানমন্ত্রীও চান।
পরে তিনি এক মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন। রংপুর বিভাগীয় কমিশনার মো. হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন খানসামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তাজ উদ্দিন।
এ সময় বক্তব্য দেন বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের সদস্য দেবাশীষ চক্রবর্তী, বিদ্যুৎ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ও নেসকোর চেয়ারম্যান ড. সৈয়দ মাসুম আহমেদ চৌধুরী এনডিসি, নেসকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাকিউল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) দেবাশীষ চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) জিন্নাহ আল মামুন, দিনাজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর সিনিয়র জিএম সাইফুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম, খানসামা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাহারুল ইসলাম, খানসামা পল্লী বিদ্যুতের এজিএম ইফতেখার আহমেদসহ বিদ্যুৎ বিভাগ, ইউপি চেয়ারম্যানগণ, সুবিধাভোগী ও বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিরা।
ইমরান আলী সোহাগ/কেএ