মুশফিক উস-সালেহীন মাহিন

ফেনীতে বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালানোর সময় বিপরীত দিক থেকে আসা ইট ভাঙার ট্রলির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে মুশফিক উস-সালেহীন মাহিন (২১) নামে এক কলেজ শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টার দিকে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের লেমুয়া রাস্তার মাথায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। 

নিহত মাহিন ফেনী সদর উপজেলার ফরহাদ নগর ইউনিয়নের দক্ষিণ ভোরবাজার এলাকার সৌদি প্রবাসী এম এন মাজেদের ছেলে। তিনি ইনস্টিটিউট অব কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (আইসিএসটি) ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। 

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালানোর সময় লেমুয়া রাস্তার মাথায় বিপরীত দিক থেকে আসা ইট ভাঙার একটি ট্রলির সঙ্গে মাহিনের  মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় মোটরসাইকেলসহ মাহিন ট্রলির নিচে পড়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে তাকে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। চট্টগ্রাম নেওয়ার পথে পথিমধ্যে বড় দারোগারহাট এলাকায় পৌঁছালে তার মৃত্যু হয়। পরে সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। 

সৌরভ নামে মাহিনের এক সহপাঠী বলেন, মৃত্যুর কয়েকঘণ্টা আগেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শখের মোটরসাইকেল নিয়ে ভিডিও দিয়েছিল সে। তার এভাবে চলে যাওয়া কোনোভাবেই মানতে পারছে না কেউ।

ইনস্টিটিউট অব কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (আইসিএসটি) অধ্যক্ষ মো. আরিফ আল মাহমুদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমাদের এক শিক্ষার্থীর সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংবাদ শুনে খুবই মর্মাহত হয়েছি। তিনি কলেজের কম্পিউটার সায়েন্স টেকনোলজির ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। 

ফেনী জেনারেল হাসপাতালে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্য জসিম উদ্দিন বলেন, মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত এক কলেজ শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে আনা হলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে চট্টগ্রামে পাঠিয়েছে। পরে চট্টগ্রাম নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

ফাজিলপুর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. রাশেদ খান চৌধুরী ঢাকা পোস্টকে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত কলেজ শিক্ষার্থীকে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে চট্টগ্রাম নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

তারেক চৌধুরী/এএএ