গাইবান্ধা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ সময় পুলিশ ভেরিফিকেশনের নামে অতিরিক্ত টাকা আদায়সহ বিভিন্ন অভিযোগে তিনজনকে হাতেনাতে আটক করেছে দুদকের কর্মকর্তারা।

রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রংপুর দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় থেকে এনফোর্সমেন্ট টিমের ছয়জন সদস্য এ অভিযান পরিচালনা করেন।

আটকরা হলেন- সোহেল, কাঞ্চন ও রুবেল নামের তিন যুবক। তাদের বাড়ি গাইবান্ধা সদর উপজেলার বল্লমঝাড় ইউনিয়নের জেলখানা সংলগ্ন এলাকায়।

এর আগে গত ২১ ফেব্রুয়ারি ‘গাইবান্ধায় দালাল ছাড়া পাসপোর্টের আবেদন জমা দেওয়া যায় না’ শিরোনামে ঢাকা পোস্টে সংবাদ প্রকাশিত হয়। সেখানে পাসপোর্ট অফিসে দালালদের দৌরাত্ম্য ও সেবাগ্রহীতাদের নানা বিড়ম্বনার চিত্র তুলে ধরা হয়। এরপর আজ দুদকের কর্মকর্তারা গাইবান্ধা পাসপোর্ট অফিসে অভিযান শুরু করেন।

রংপুর দুদক কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক হোসাইন শরীফ ঢাকা পোস্টকে বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ও ঢাকা পোস্টে গাইবান্ধা পাসপোর্ট অফিস সংক্রান্ত অনিয়মের নিউজের পরিপ্রেক্ষিতে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। 

তিনি আরও বলেন, অভিযানে আমরা দেখতে পাই পাসপোর্ট অফিসের ভেতরে লোকজন কম থাকলেও বাইরে কম্পিউটারের দোকানগুলোতে অনেক ভিড়। পরে গাইবান্ধা সদর উপজেলার পূর্বপাড়া এলাকার বাসিন্দা আজিরন নামের এক নারীর কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার খবর পাই। যেখানে পাঁচ বছর মেয়াদি জরুরি পাসপোর্টের ফি ৬ হাজার ৩২৫ টাকা সেখানে তার কাছ থেকে নেওয়া হয় ৯ হাজার ৫০০ টাকা। পরে ওই নারীর সঙ্গে থাকা তিন দালালকে টাকাসহ হাতেনাতে আটক করি। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে প্রত্যেককে সাত দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।

হোসাইন শরীফ বলেন, পাসপোর্ট অফিসের পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া এই ধরনের কাজ করা সম্ভব নয়। ধারণা করা হচ্ছে অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার সঙ্গে পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তারা জড়িত। আমরা সবার নাম-ঠিকানাসহ বিস্তারিত তথ্য নিয়েছি। এ ব্যাপারে অধিকতর তদন্ত করে ঢাকা অফিসে প্রতিবেদন পাঠানো হবে। অফিসের কেউ জড়িত থাকার প্রমাণ মিললে ঢাকা অফিস তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।

রংপুর দুদক কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক হোসাইন শরীফ, উপসহকারী পরিচালক জয়ন্ত সাহা ও একেএম নুরে আলম সিদ্দিকসহ ছয়জন এ অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন গাইবান্ধার এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সুলতানা রাজিয়া।

রিপন আকন্দ/এমজেইউ