অচল পড়ে আছে ৫ কোটি টাকার ফায়ার ফাইটিং মোটরসাইকেল
দ্রুত দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছানো এবং অগ্নিনির্বাপণে সহজে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারে এমন ৭০টি ফায়ার ফাইটিং মোটরসাইকেল বরিশাল ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স স্টেশনকে দিয়েছিল চীনের দাতা প্রতিষ্ঠান। ২৫০ সিসি ক্ষমতাসম্পন্ন প্রতিটি মোটরসাইকেলের দাম ছিল ৮ লাখ টাকা করে। কিন্তু রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে পাঁচ বছর ধরে অচল হয়ে পড়ে আছে সাড়ে পাঁচ কোটি টাকার এসব দ্রুতযান।
মোটরসাইকেলগুলো মেরামতে নেই উল্লেখযোগ্য কোনো উদ্যোগ। এতে করে একদিকে যেমন কয়েক কোটি টাকার মূল্যবান সম্পদের ক্ষতি হচ্ছে পাশাপাশি কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছে না বরিশালবাসী।
বিজ্ঞাপন
জানা গেছে, ২০১৭ সালে চীন থেকে অনুদান পাওয়া এসব মোটরসাইকেল ৩০ গজ পাইপসহ ৩৯ লিটার পানি বহন করতে পারে। প্রথম ৬ মাসে বিভাগের ২৫০টি অগ্নিকাণ্ড ও দুর্ঘটনায় সফলতা দেখিয়ে ব্যাপক প্রশংসা কুড়ায় ফায়ার সার্ভিস। এরপর একে একে নষ্ট হতে থাকে মোটরসাইকেলের ব্যাটারি ও চার্জার। ২০১৯ সাল থেকে পুরোপুরি ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ে মোটরসাইকেলগুলো। গাড়িগুলো মেরামতের জন্য দাতা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা দুইবার এলেও পরে আর আসেননি।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা জানান, প্রথমবার এসে ৫/৭টি মোটরসাইকেল মেরামত করে দিয়ে যায়। তাদের কাছে আর মেরামতের মালামাল নেই জানিয়ে পরবর্তীতে এসে মেরামত করে দিয়ে যাওয়ার কথা বলেন। তারপর কেটে গেছে প্রায় পাঁচ বছর। কিন্তু ওই প্রতিষ্ঠানের কেউ আসেনি।
ফায়ার সার্ভিস কর্মী বশির ঢাকা পোস্টকে বলেন, মোটরসাইকেলগুলোর ব্যাটারির চার্জ বেশিক্ষণ থাকে না। এতে সংযুক্ত ব্যাটারিগুলো বাংলাদেশে চলাচলকারী মোটরসাইকেলের ব্যাটারির মতো না। এগুলোর ছোট ড্রাইসেল ব্যাটারি। এসব মোটরসাইকেল পরিচালনায় কর্মীদের প্রশিক্ষণ দিলেও গাড়িগুলো মেরামতের উপায় আমাদের জানা নেই।
বরিশাল ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক মো. বেলাল উদ্দিন বলেন, জনসেবায় এই মোটরসাইকেলগুলো ব্যবহার করে দ্রুত ও ভালো ফলাফল পেয়েছিলাম। বর্তমানে সবগুলো অচল হয়ে পড়ে আছে। এগুলো পুনরায় সচল করে কাজের উপযোগী করার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
সৈয়দ মেহেদী হাসান/এমজেইউ