উৎসবের মধ্য দিয়ে কয়েক দিন আগেই বরণ করা হলো ঋতুরাজ বসন্তকে। ফাল্গুনের আগমনে রঙিন হয়ে উঠেছে চারপাশ। রঙিন এই পরিবেশ কিছুটা ফিকে ছিল বৃষ্টির অপেক্ষায়। সেই অপেক্ষার প্রহর কাটিয়ে দেখা মিলেছে স্বস্তির বৃষ্টির।

সুনামগঞ্জে যে বৃষ্টি হবে তা বোঝা গিয়েছিল বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকেই। ভোররাতে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিও হয়েছে। তবে বেলা ১১টার দিকে হঠাৎ আকাশ থেকে নেমে এলো অঝোরে বৃষ্টি। বাতাসে ধুলার গন্ধ মুছে দিয়ে অঝোরে ঝড়ল বৃষ্টি। ধুলোর আস্তরণ থেকে মুক্ত হয়ে সজীব হলো গাছের সবুজ পাতাগুলো।

এর আগে মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে সুনামগঞ্জে দেখা মিলে বসন্তের প্রথম বৃষ্টির। দুদিনের এই বৃষ্টি হাওরের ধানের জন্য উপকারী বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কৃষকরা।

শান্তিগঞ্জ উপজেলার হাঁশকুড়ি গ্রামের কৃষক সোহেল মিয়া ঢাকা পোস্টকে বলেন, বোরো ধান রোপণ শেষ হয়েছে। এখন সেচ দিয়ে পানি দিতে হচ্ছে। এর মধ্যে এই বৃষ্টি আশীর্বাদ হয়ে নেমেছে। দুদিনের বৃষ্টিতে আমাদের অনেক সেচ খরচ বেঁচে গেছে।

একই উপজেলার কৃষক এমদাদ আলী বলেন, ফাগুনে বৃষ্টি পাওয়া আমাদের ফসলের জন্য ভালো লক্ষ্মণ। তবে শিলাবৃষ্টি ভয়ংকর। এখন সামান্য শিলাবৃষ্টি সমস্যা নেই। কিন্তু ফসল আসার পর শিলাবৃষ্টি হলে আমাদের ক্ষতি হবে।

জেলায় এ বছর ২ লাখ ২৩ হাজার ৪০৭ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ হয়েছে। এসব জমির ধান উৎপাদনে পানি নিয়ে দুশ্চিন্তার কথা জানান জেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা বিমল চন্দ্র সোম।

তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, সার ও পানি নিয়ে বেশ  চিন্তায় ছিলাম। সারের সংকট কাটিয়ে ফেলেছি তবে পানি নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলাম। এই দুদিনের বৃষ্টি পানির দুশ্চিন্তাটাও কমিয়ে দিয়েছে। কৃষকের ফসলের জন্য অনেক উপকার হয়েছে এই বৃষ্টি।

এমজেইউ