সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গে লাখো প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে ভাষা শহীদদের স্মরণ করেছে নড়াইলবাসী। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় শহরের কুড়ির ডোব মাঠে এ আয়োজন করা হয়। স্কয়ার গ্রুপের আর্থিক সহযোগিতায় নড়াইলে একুশের আলো উদযাপন পরিষদের আয়োজিত এ প্রদীপ প্রজ্জ্বলন অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশফাকুল হক চৌধুরী। এ সময় তিনি ৫২-এর ভাষা আন্দোলনের তাৎপর্য তুলে ধরেন। 

জানা গেছে, ভাষা শহীদদের স্মরণে নড়াইল একুশ উদযাপন পর্ষদের আয়োজনে ১৯৯৮ সালে ১০ হাজার মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে প্রথম ব্যতিক্রমী এই আয়োজন শুরু হয় নড়াইলে। এরপর প্রতিবছরই এর ব্যপ্তি বাড়তে থাকে। তারই ধারাবাহিকতায় এ বছর ‘অন্ধকার থেকে মুক্ত করুক একুশের আলো’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে লাখো প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করা হয়। এ এসময় প্রদীপ দিয়ে বাংলা বর্ণমালা, আলপনাসহ বাঙালির নানান ঐতিহ্য তুলে ধরা হয়। ছয় একরের মাঠটি প্রদীপের আলোয় আলোকিত হয়ে ওঠে। মাঠের চারপাশ নানান পণ্যের পশরা সাজিয়ে বসেন দোকানিরা। শহীদদের স্মরণে ব্যতিক্রমী এ আয়োজন দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে মানুষেরা ছুটে আসে।

খুলনা থেকে এ আয়োজন দেখতে আসা অনামিকা ফেরদৌস ডানা ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা খুলনা থেকে আসছি দেখার জন্য, খুবই ভালো লাগছে। এখানে সবাই খুব আনন্দ করছে। অনেক বছর ধরে এই আয়োজন হয়ে আসছে, আমাদের খুবই ভালো লাগে।

মো. জুবায়ের মোল্যা নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, ভাষা শহীদদের স্মরণে প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের যে ব্যতিক্রম আয়োজন করা হয়, এমন আয়োজন আর কোথাও করা হয় না। নড়াইলবাসী হিসেবে আমি গর্বিত।

একুশের আলো উদযাপন পর্ষদের সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রিয় নাট্য অভিনেতা কচি খন্দকার বলেন, একুশের আলো মানেই ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন। এটি এখন আর নড়াইলের কর্মসূচি নেই। সারা বাংলাদেশের মানুষ জানে ভাষা শহীদদের উদ্দেশ্য এখান মোমবাতি-প্রদীপ জ্বলে উঠে। 

রাজু শেখ/আরকে