রফিকুল ইসলাম মাদানিকে বক্তব্য দিতে না দেওয়ায় পুলিশ ফাঁড়িতে ভাঙচুর
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের বাদাঘাট এলাকায় ইসলামি বক্তা মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানিকে ওয়াজ মাফফিলে বক্তব্য দিতে না দেওয়ায় পুলিশ ফাঁড়িতে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ভাঙচুর করেছে উত্তেজিত জনতা। সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) গভীর রাতে উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের বাদাঘাট পুলিশ ফাঁড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশ টিয়ারশেল ও শর্টগানের গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে দুই পুলিশ সদস্যসহ ২০ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
এ ঘটনায় পুলিশ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে। এরা হলেন- মাহারাম গ্রামের ফজলুর রহমানের ছেলে মোজাম্মিল হক লিটন, কাস্তাল গ্রামের মাওলানা তবারক ইসলামের ছেলে রায়হান, পৈলানপুরের সিরাজুল ইসলামের দুই ছেলে বশির আহমদ ও নাসির উদ্দিন এবং বাদাঘাটের আবুল বাশারের ছেলে মোশারফ।
বিজ্ঞাপন
স্থানীয়রা জানান, বাদাঘাট বাজার জামে মসজিদের নামে সোমবার রাতে ওয়াজ মাফফিলের আয়োজন করা হয়। রাত ১০টায় হঠাৎ করে এলাকায় প্রচার করা হয় মাহফিলে মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানি বক্তব্য দেবেন। বিষয়টি জানতে পেরে মাহফিলে আসার পথে মিয়ারচর ঘাট থেকে রফিকুল ইসলাম মাদানিকে ফিরিয়ে দেয় পুলিশ। পরে রাত ১২টার দিকে ওয়াজ মাফফিলের মাইকে জানানো হয়- আইনি জটিলতায় রফিকুল ইসলাম মাদানি আসতে পারবেন না। পরে গভীর রাতে উত্তেজিত কিছু মানুষ বাজারে মিছিল বের করে। একপর্যায়ে গুজব রটে রফিকুল ইসলাম মাদানিকে পুলিশ ফাঁড়িতে আটকে রাখা হয়েছে। মিছিলকারীরা পরে পুলিশ ফাঁড়ির সামনে গিয়ে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। ফাঁড়ির বাহিরের বাঁশের বেড়া ভাঙচুর করে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দুই রাউন্ড টিয়ারশেল ও ২৭ রাউন্ড শর্টগানের গুলি ছোড়ে।
বাদাঘাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন জানান, বিতর্কিত বক্তা রফিকুল ইসলাম মাদানি এখানে আসবেন আমাদের জানা ছিল না। রাত ১০টায় হঠাৎ করে শুনেছি তিনি আসবেন। পুলিশ ফাঁড়িতে হামলার ঘটনায় নিন্দা জানাই। যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হোক। তবে কোনো নিরীহ মানুষ যেন হয়রানির শিকার না হয়।
সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু সাঈদ জানালেন, রফিকুল ইসলাম মাদানিকে অনুমতি ছাড়া বক্তব্য দিতে দেওয়া যাবে না বলে জানায় পুলিশ। পরে গুজব রটানো হয়, রফিকুল ইসলামকে পুলিশ ফাঁড়িতে আটকে রাখা হয়েছে। একপর্যায়ে কিছু মানুষ ফাঁড়ির সামনে এসে ইটপাটকেল ছোড়ে এবং ফাঁড়ির সীমানার বাঁশের বেড়া ভাঙচুর করে। পরে পুলিশ দুই রাউন্ড টিয়ারশেল ও ২৭ রাউন্ড গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন বলে জানান তিনি।
আরএআর