বাগেরহাটের মোল্লাহাটে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে পান্না মোল্লা নিহত ও ৬ পুলিশসহ ২৫ জন আহতের ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। এ ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পর সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় নিহতের ছেলে মামুন মোল্লা বাদী হয়ে ১৬ জনের নাম উল্লেখসহ ৪০-৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। 

অপরদিকে, মোল্লাহাট থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মাসুম বিল্লাহ বাদী হয়ে পুলিশ আহতের ঘটনায় ৩৪ জনের নাম উল্লেখসহ ৪৫০ থেকে ৫০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

হত্যা মামলায় মোল্লাকুল এলাকার শাহজাহান খাকি, লতিফা বেগমসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পুলিশ আহতের মামলায় কাজী গ্রুপের নেতা লায়েক কাজী ও খাকি গ্রুপের নেতা শাহজাহান কাজীসহ ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

এদিকে ময়নাতদন্ত শেষে এদিন রাতে সংঘর্ষে নিহত মোল্লারকুল এলাকার মৃত তৈয়ব মোল্লার ছেলে পান্না মোল্লার নামাজে জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। এলাকায় এখনও থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। সংঘর্ষে ব্যবহৃত ইট ও লাঠিসোটা এখনও পড়ে রয়েছে ঘটনাস্থলে। আতঙ্ক বিরাজ করছে স্থানীয়দের মাঝে। ফের সংঘর্ষ এড়াতে এলাকায় এখনও পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

মোল্লাহাট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম আশরাফুল আলম বলেন, হত্যা ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। দুই মামলায় ১২ জনকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় উপজেলার মোল্লারকুল এলাকায় লায়েক কাজী ও শাহজাহান খাকি গ্রুপের মধ্যে এই সংঘর্ষে পান্না মোল্লা নিহত এবং ৬ পুলিশ সদস্যসহ উভয়পক্ষের অন্তত ২৫ জন আহত হয়।

আহতরা মোল্লাহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে দুই পক্ষের মধ্যে বিবাদ চলে আসছিল। এর আগেও ২০২১ সালে একই এলাকায় কাজী ও খাকি গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে একজন নিহতের ঘটনা ঘটেছিল।

শেখ আবু তালেব/এমএএস