২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের ছুটি এবং সাপ্তাহিক ছুটিকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে কুয়াকাটার আবাসিক হোটেল ও রিসোর্টগুলোর প্রায় ৮৫ শতাংশ বুকিং হয়ে গেছে। হোটেল ব্যবসায়ীরা বলছেন- শতভাগ রুম বুকিং হয়ে যাবে। বাড়তি পর্যটকের চাপ পড়বে কুয়াকাটায়।

গতকাল রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত কুয়াকাটার আবাসিক হোটেল এবং রিসোর্টগুলোর প্রায় ৮৫ শতাংশ রুম অগ্রিম বুকিং হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন।

কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ইব্রাহিম ওয়াহিদ বলেন, নির্বাচনের পর কুয়াকাটায় পর্যটকদের চাপ অনেকটা বেড়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় আগামী ২১-২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কুয়াকাটায় থাকা প্রথম শ্রেণির হোটেলগুলো ইতোমধ্যে ৮০-৯০ শতাংশ এবং দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির হোটেলগুলোর প্রায় ৭০ শতাংশ রুম এরই মধ্যে অগ্রিম বুকিং হয়ে গেছে। ২১ ফেব্রুয়ারি বুধবার, এরপর শুক্রবার-শনিবার পর্যন্ত অনেকেই চারদিনের ছুটি তৈরি করেছেন। যে কারণে আমরা প্রত্যেকটা হোটেল ২২ ও ২৩ তারিখের সবচেয়ে বেশি বুকিং পেয়েছি। 

কুয়াকাটার বিলাসবহুল হোটেল খান প্যালেসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রাসেল খান বলেন, ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আমাদের হোটেল শতভাগ বুকিং রয়েছে। বর্তমান সময়ে ছুটির দিন ব্যতীতও কুয়াকাটায় অনেক পর্যটক রয়েছে। রমজানের আগ পর্যন্ত এই ধারাবাহিকতা থাকবে বলে আমরা মনে করি।

ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটা (টোয়াক) প্রেসিডেন্ট রুমান ইমতিয়াজ তুষার জানান, বছরের গুরুত্বপূর্ণ কিছু সময় পর্যটকদের বাড়তি চাপ থাকে তার মধ্যে একুশে ফেব্রুয়ারি একটি। তার সঙ্গে সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় পর্যটকদের জন্য বাড়তি সুবিধা হয়েছে। আর সেজন্যই মূলত কুয়াকাটায় পর্যটকদের বাড়তি চাপ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। পর্যটন সংশ্লিষ্ট সকল ব্যবসায়ীরা ইতোমধ্যে পর্যটকদের বরণ করে নিতে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। 

কুয়াকাটা হোটেল মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য মতে, কুয়াকাটায় ছোট-বড় ২০০টির বেশি হোটেল রয়েছে, যার পর্যটক ধারণক্ষমতা ২০-২৫ হাজার। কিন্তু বিভিন্ন ছুটির দিনগুলোতে অতিরিক্ত পর্যটক আগমনের কারণে হোটেলগুলোতে রুম না পেয়ে, অনেক পর্যটক পার্শ্ববর্তী বাসাবাড়িতে রাত্রিযাপন করেন, আবার অনেকে সারাদিন ভ্রমণ শেষে রাতে নিজ গন্তব্যেও ফিরে যান। তবে বর্তমানে নির্মাণাধীন যে হোটেলগুলো রয়েছে সেগুলো চালু হলে কিছুটা চাপ সামলানো যাবে।

ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা রিজিয়নের পুলিশ সুপার মো. আবুল কালাম আজাদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, টানা চারদিন কুয়াকাটায় অসংখ্য পর্যটক আসবে। তাই ইতোমধ্যে পর্যটকদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। কুয়াকাটার সবগুলো দর্শনীয় স্থানে আমাদের টিম দায়িত্বরত থাকবে। আমাদের একাধিক টিম পোশাকে ও সাদা পোশাকে দায়িত্ব পালন করবে। 

এসএম আলমাস/আরএআর