মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে দেশটির সেনাবাহিনী ও বিদ্রোহীদের টানা যুদ্ধের পর বান্দরবানের ঘুমধুম সীমান্ত পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত। তবে স্থানীয়দের মাঝে এখনো আতঙ্ক বিরাজ করছে। তাদের আশঙ্কা, সীমান্তের ওপারে বিদ্রোহীদের দখল করা এলাকায় আবারও বিমান হামলা চালাতে পারে দেশটির সেনাবাহিনী। 

রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) ঘুমধুম, তুমব্রু, ফুলতলি ও আছাড়তলি এলাকার স্থানীয়দের সঙ্গে কথা হলে তারা এ আতঙ্কের কথা জানান। যারা নিরাপদ আশ্রয়ে দূরের আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন তাদের অনেকেই এখনো সীমান্তবর্তী এলাকায় ফিরে আসতে ভয় পাচ্ছ্নে।  

এদিকে দিনের বেলায় গোলাগুলির কোনো শব্দ না থাকলেও রাত ১০টার পরে সীমান্তের ওপারে এখনো গোলাগুলির শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। স্থানীয়দের ধারণা, যেহেতু দুটি ক্যাম্প থেকেই মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড (বিজিপি) সরে গেছে ফলে সেখানকার নিয়ন্ত্রণ রয়েছে আরাকান আর্মির হাতে।

ইউপি সদস্য দিল মোহাম্মদ ভুট্টো জানান, ক্যাম্প পুনর্দখল ও আরাকান আর্মির ওপর আক্রমণ করার জন্য স্থলপথে এখানে আসার সুযোগ নেই মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর। ক্যাম্প উদ্ধার করতে তারা একমাত্র বিমান হামলা চালাতে পারে। এতে সীমান্ত এলাকায় এক ধরনের ভীতিকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। 

বাজার পাড়ার বাসিন্দা নুর আহমেদ বলেন, টানা কয়েকদিন ধরে গোলাগুলির পর পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে, মানুষ ঘর ছেড়ে বের হওয়া শুরু করেছে। এখন সবার মধ্যে দেশটির সেনাবাহিনীর আবারও পাল্টা হামলার সম্ভাবনা থাকায় এক ধরনের আতঙ্ক কাজ করছে।

ঘুমধুম সীমান্তের স্থানীয় সাংবাদিক মাহমুদুল হাসান বলেন, মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ক্যাম্পটি পুনরায় দখলে নিতে বিদ্রোহী গোষ্ঠীর ওপর বিমান হামলা করতে পারে। যার প্রভাব সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশেও দেখা দিতে পারে। 

বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন জানান, সীমান্ত পরিস্থিতি এখন অনেকটা ভালো। বাংলাদেশ পুলিশ, বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জনপ্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করেছে। সীমান্তে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিজিবি এবং পুলিশ সদস্যরা সতর্ক অবস্থাতে আছেন।

এএএ