ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য এ কে আজাদ বলেছেন, নিজ নিজ এলাকায় শিক্ষিত জনগোষ্ঠী তৈরি করতে জনপ্রতিনিধিদের ব্যাপক ভূমিকা রয়েছে। শুধু ভোট নিলেই হবে না, প্রতিটা এলাকার জনপ্রতিনিধিদেরও শিক্ষিত জনগোষ্ঠী তৈরি করতে কাজ করতে হবে।

শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে ফরিদপুর সদরের গেরদা ইউনিয়নের পশরা গ্রামে এম এ আজিজ উচ্চ বিদ্যালয়ে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধনে তিনি এ কথা বলেন।

এ কে আজাদ বলেন, আমি ফরিদপুর সদরকে একটি শিক্ষানগরী হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। এর জন্য প্রথমে আমার সাহায্য প্রয়োজন অভিভাবকদের। আগে অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে। তাদের নিজেদের স্বপ্ন দেখতে হবে এবং সন্তানদের সে স্বপ্ন দেখাতে হবে। সন্তানদের মধ্যে একটি ভিশন তৈরি করে দিতে হবে। তারপর সেই ভিশন সন্তানদের পথ চলতে সাহায্যে করতে হবে।

তিনি বলেন, পাশাপাশি শিক্ষকদেরও একই ভূমিকা পালন করতে হবে। শিক্ষকতা শুধু একটি পেশামাত্র নয়, একটি আদর্শ। এ আদর্শ শিক্ষকদের ধারণ করে শিক্ষার্থীদের মধ্যে জ্ঞানের প্রদীপ জ্বালাতে পারলে তা হবে তার শিক্ষক জীবনের সার্থকতা।

এই সংসদ সদস্য বলেন,  শিক্ষিত জনগোষ্ঠী দিয়েই ফরিদপুরকে বেকারমুক্ত নগরে পরিণত করা হবে। এই জনপদের বেকারত্ব দূর করতে আমি কাজ শুরু করেছি। এই শহরের শিক্ষিত, অর্ধ-শিক্ষিত জনগোষ্ঠীকে কর্মসংস্থান করে দিতে এই গেরদায় একটি বিনামূল্যে ট্রেনিং সেন্টার করেছি। এখান থেকে ট্রেনিং শেষে তাদের চাকরি নিশ্চিত করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে পাঠানো হবে।

তিনি আরও বলেন, আগামীতে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে আপনরা তাকেই ভোট দেবেন যিনি আপনাদের প্রতি নিবেদিত প্রাণ। বিপদে আপদে যাকে আপনারা পাশে পান। যার সঙ্গে আপনারা সুখ-দুঃখ-হাসি-কান্না ভাগ করে নিতে পারেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রাজ্জাক মোল্লা, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বিষ্ণু পদ ঘোশাল।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি শহিদুল ইসলাম। এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহা, হা-মীম গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক জালাল আহমেদ, সমাজসেবক ডা. আবুল হাসেম, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নুসরাত রসুল, ডিক্রিরচর ইউপি চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান প্রমুখ।

এমএসএ