দামি ব্র্যান্ডের মোড়কে নিম্নমানের চিনি, ব্যবসায়ীকে জরিমানা
বেশি মুনাফা পেতে ভারতীয় নিম্নমানের চিনি প্রসিদ্ধ একটি ব্যান্ডের মোড়কে বাজারজাত করতে মজুত করার অপরাধে মানিকগঞ্জে এক ব্যবসায়ীকে আড়াই লাখ টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেল চারটার দিকে জেলা শহরের দুধবাজার এলাকায় এই অভিযান পরিচালনা করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রুমেল।
বিজ্ঞাপন
অভিযানে জেলা শহরের দুধবাজার এলাকায় মেসার্স আল মাসুদ জেনারেল স্টোরের মালিক মাসুদ খানকে জরিমানা করা হয়।
অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয় ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ব্যবসায়ী মাসুদ খান আসন্ন রমজান মাসে অধিক মুনাফার লোভে ভারতীয় নিম্নমানের চিনি ব্র্যান্ডের মোড়কে বাজারজাতের জন্য মজুত করেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে, তার গুদাম ঘরে ‘তীর’ ব্যান্ডের ৪৩৪ বস্তা ও ‘ফ্রেশ’ ব্র্যান্ডের ৬৬ বস্তা চিনি পাওয়া যায়। পরীক্ষা করে দেখা গেছে প্রতি বস্তায় ৫০ কেজি হিসেবে সেখানকার ২৫ টন চিনিই নিম্নমানের। এসব নিম্নমানের চিনি অধিক মূল্যে বিক্রির উদ্দেশ্যে ব্যান্ডের বস্তায় ভরা হয়।
অভিযানে ওই ব্যবসায়ী তার অপরাধ স্বীকার করে ভবিষ্যতে এমন অপরাধ না করার শর্তে তাকে আড়াই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। একইসঙ্গে জব্দকৃত ২৫ টন চিনি ১২৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি করে তার হিসাব ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয়ে জমা দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়।
ভোক্তার সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রুমেল বলেন, আসন্ন রমজান মাসে অধিক মুনাফার উদ্দেশ্যে নিম্নমানের এসব চিনি তীর ও ফ্রেশ ব্র্যান্ডের মোড়কের বস্তায় ভরে বাজারজাতকরণের জন্য ওই ব্যবসায়ী তার প্রতিষ্ঠানের গুদামে মজুত করেছিলেন। ভারতী এসব চিনি টাঙ্গাইল থেকে কিনে এনেছেন বলে জানান ব্যবসায়ী। পরে এসব চিনি খুচরা-বাজারে ন্যায্যমূল্যে বিক্রির ব্যবস্থা করা হয়।
ভারত থেকে এসব চিনি ‘চোরাই পথে’ টাঙ্গাইলে আনা হয় কিনা? তা নিশ্চিত হতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।
অভিযানে সহযোগিতা করেন জেলা ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক সামছুন্নবী তুলিপ ও সদর থানার পুলিশ।
এমএসএ