পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে উদ্ধার ফেনসিডিল বিক্রির অভিযোগ
বগুড়ায় অভিযান চালিয়ে ১৯৮ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধারের পর ৮৮ বোতল বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। অভিযোগ উঠার পর বিষয়টি তদন্ত করছেন জেলা পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞা। মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) রাতেই মামলার আলামতসহ নথিপত্র জেলা গোয়েন্দা শাখায় স্থানান্তর করা হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ৩ এপ্রিল রাতে বগুড়ার মোকামতলায় চেকপোস্ট বসান শিবগঞ্জ সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আরিফুল ইসলাম সিদ্দিকী। সে সময় ঢাকাগামী পিংকি পরিবহনের যাত্রী সাইফুল ইসলামের কাছ থেকে ১৯৮ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে ৮৮ বোতল ফেনসিডিল বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে।
বিজ্ঞাপন
বুধবার (২১ এপ্রিল) দুপুরে শিবগঞ্জ সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আরিফুল ইসলাম সিদ্দিকী উদ্ধারকৃত ফেনসিডিল বিক্রির বিষয়টি মিথ্যা বলে দাবি করেছেন।
তিনি বলেন, আমরা চেকপোস্ট বসিয়ে মাদক উদ্ধার করেছি। সাইফুল ইসলাম নামের ওই মাদক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ১১০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। ১১০ বোতল উল্লেখ করে মামলাও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ১৯৮ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধারের বিষয়টি মিথ্যা।
১১০ বোতল ফেনসিডিলসহ গ্রেফতার সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে বাদী হয়ে মামলা দিয়েছেন মোকামতলা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই সুজাউদ্দৌলা। তিনি বলেন, সাইফুল ইসলামকে ১১০ বোতল ফেনসিডিলসহ গ্রেফতার করা হয়েছিল।
এদিকে ২০ এপ্রিল মোকামতলা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞা গিয়েছিলেন। সেখানে পুলিশ সুপার নিজেই ফেনসিডিল উদ্ধারের সময় উপস্থিত পুলিশ সদস্য ছাড়াও মামলার সাক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
মোকামতলা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ পরিদর্শক শাহিন-উজ-জামান বলেন, এ ধরনের একটি অভিযোগের তদন্ত এসপি স্যার নিজেই করছেন। মামলাটি ডিবিতে স্থানান্তর করা হয়েছে।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, মাদকের নিয়মিত মামলাটি পেয়েছি। তদন্ত শুরু হয়েছে।
পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞা বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমি নিজেই বিষয়টি তদন্ত করছি।
সাখাওয়াত হোসেন জনি/এএম