রাজবাড়ী থেকে ২২৫৪ যাত্রী নিয়ে চব্বিশ কোচের বিশেষ আন্তঃদেশীয় ট্রেন যাবে পশ্চিমবঙ্গের মেদেনীপুর জেলায়। মেদেনীপুর জোড়া মসজিদে পবিত্র বার্ষিক ওরশ শরিফে অংশ নিতে এই ট্রেনে সেখানে যাবেন বাংলাদেশের মুরিদরা।

আগামী বুধবার(১৪ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০ টা ১ মিনিটে রাজবাড়ী রেলস্টেশন থেকে বিশেষ ট্রেনটি ছেড়ে যাবে মেদেনীপুরের উদ্দেশ্যে।

রাজবাড়ীর আঞ্জুমান-ই-কাদেরীয়া অফির সূত্রে জানা গেছে, এ বছর ১২৩ তম ওরশ শরীফে ২ হাজার ২৫৪ জন যাত্রী নিয়ে ওরশ শরীফে যোগ দিতে বিশেষ ট্রেন যাবে মেদিনীপুর।এর মধ্যে ১ হাজার ৩১৬ জন পুরুষ, ৮৫৬ জন মহিলা এবং ৮২ জন শিশু (বালক ও বালিকা) রয়েছে। আগামী ১৪ই ফেব্রুয়ারি বুধবার রাত ১০টায় আঞ্জুমান-ই-কাদেরিয়ী ঢাকার সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ মাহবুব-উল-আলম দুলাল টিম লিডার হিসেবে নেতৃত্ব দিয়ে রাজবাড়ী রেলওয়ে স্টেশন হতে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুরের উদ্দেশ্যে ট্রেন ছেড়ে যাবে। পবিত্র ওরশ শরীফ শেষে আগামী ১৮ই ফেব্রুয়ারি তারিখে ওরশ স্পেশাল ট্রেনটি রাজবাড়ী ফিরে আসবে।

জানা গেছে,পশ্চিমবঙ্গে মেদিনীপুরে নূরনবী হযরত মুহাম্মদ(সাঃ) এর ৩২তম ও বড় পীর গাউসুল আযম হযরত আব্দুল কাদের জিলানী(আঃ) এর ১৯তম অধস্তন পবিত্র বংশধর আলী আব্দুল কাদের সামশুল কাদের হযরত সৈয়দ শাহ মোর্শেদ আলী আল কাদেরী আল হাসানী আল হুসাইনী আল বাগদাদী আল মেদিনীপুরী(আঃ) মশহুর নাম ‘মওলাপাক’র ১২৩ তম বার্ষিক পবিত্র ওরশ শরীফ আগামী ১৭ই ফেব্রুয়ারি শনিবার দিবাগত রাতে মেদিনীপুর জোড়া মসজিদে উদযাপিত হবে।

রাজবাড়ীর রেলওয়ের স্টেশন মাস্টার তন্ময় কুমার দত্ত বলেন,ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুরের হযরত আলী আব্দুল কাদের সামশুল কাদের সৈয়দ শাহ্ মোরশেদ আলী আল্ কাদেরী আল হাসানী ওয়াল হুসাইনী আল্ বাগদাদী আল মেদিনীপুরী (আঃ)-এর ১২৩ তম বার্ষিক ওরশ শরীফ আগামী শনিবার(১৭ই ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠিত হবে। প্রতি বছরের মতো এবারও বাংলাদেশ এবং ভারত সরকারের রেলওয়ে বিভাগের ব্যবস্থাপনায় ২৪ টি বগির একটি বিশেষ ট্রেন বরাদ্দ করা হয়েছে। রাজবাড়ী থেকে এই ট্রেন আগামী ১৪ তারিখ রাজবাড়ী রেলস্টেশন থেকে ছেড়ে যাবে।এই জন্য রাজবাড়ী রেলস্টেশন বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

রাজবাড়ী আঞ্জুমান-ই-কাদেরীয়ার সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুল আজিজ কাদেরী খোকন জানান,প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও আগামী ১৪ তারিখ রাজবাড়ী থেকে বিশেষ ট্রেন মেদেনীপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে।এই ট্রেনে সারা বাংলাদেশের নারী,পুরুষ ও শিশু দিয়ে ২২৫৪ জন যাত্রী থাকবে।এছাড়াও রাজবাড়ী থেকে একটি স্পেশাল বাস ছেড়ে যাবে। ওরশ শরীফ উপলক্ষ্যে আমাদের সব প্রস্তুতি সম্পূর্ণ হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ও ভারত সরকার যৌথভাবে ১৯০২ সাল থেকে এই ওরশ স্পেশাল ট্রেনটি চলাচলের ব্যবস্থা করে আসছে। তবে করোনা মহামারীর কারণে ২০২১ ও ২০২২ সালে ওরশ স্পেশাল ট্রেন যায়নি।ভারতের মেদিনীপুরের সাথে মিল রেখে রাজবাড়ীর বড় মসজিদেও নানা আনুষ্ঠানিকতা পালনা করা হবে।

প্রতিনিধি/ এসএমডব্লিউ