আ.লীগের টিকিটে সংসদে যেতে চান জয়পুরহাটের ১৩ নারী
দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে সংসদ সদস্য হতে জয়পুরহাট থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন কিনেছেন ১৩ জন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নেত্রী ও জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের নেত্রীও রয়েছেন। এ ছাড়া আছেন শহীদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানও। জেলা আওয়ামী লীগ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
মনোনয়ন কেনা নারীরা হলেন- আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, জেলা কৃষক লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মিসেস ফিরোজা চৌধুরী, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাম্মিম আজিজ সাজ, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবিনা আক্তার চৌধুরী, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সদস্য মাহফুজা মন্ডল রিনা, মোছা. মাসুদা বেগম ঝর্ণা।
বিজ্ঞাপন
এ ছাড়া আরও মনোনয়ন কিনেছেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি মোসা. কামরুন্নাহার শিমুল, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সদস্য মাহফুজা সুলতানা মলি, আক্কেলপুর পৌর মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবিদা সুলতানা কুইন, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সদস্য অ্যাডভোকেট আঞ্জুমান আরা আয়না, বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সহ-সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রুবিনা আখতার, নারী নেত্রী ইয়াসমিন আরা ও ডিমপল জাজেদিয়া।
এই ১৩ নারী নেত্রীর মধ্যে ডা. রোকেয়া সুলতানা শহীদ সন্তান। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা জয়পুরহাট সদরের বানিয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি জয়পুরহাট-১ (সদর ও পাঁচবিবি) আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন। তবে দল থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল বর্তমান সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সামছুল আলম দুদুকে। পরে তাকেই সমর্থন দেন এই নেত্রী।
জেলা কৃষক লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মিসেস ফিরোজা চৌধুরী জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সদস্য পদেও রয়েছেন। তিনি জয়পুরহাট শহরের সাহেবপাড়া মহল্লার বাসিন্দা। এবারই প্রথম সংরক্ষিত নারী আসনে সংসদ সদস্য হতে মনোনয়ন তুলেছেন ফিরোজা চৌধুরী। এ ছাড়া শাম্মিম আজিজ সাজ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে রয়েছেন। তার স্বামী আরিফুর রহমান জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। তিনিও এবার প্রথম সংরক্ষিত নারী আসনে সংসদ সদস্য হতে মনোনয়ন তুলেছেন। জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবিনা আক্তার চৌধুরীও প্রথমবারের মতো মনোনয়ন তুলেছেন। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এসএম সোলায়মান আলীর সহধর্মিণী।
জয়পুরহাট শহরের আরাফাত নগরের বাসিন্দা মাহফুজা মন্ডল রিনা। তিনি জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সদস্য পদে রয়েছেন। এর আগে একবার সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন মাহফুজা মন্ডল রিনা। এবার জয়পুরহাট-১ (সদর ও পাঁচবিবি) আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন রিনা। তবে দল থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল বর্তমান সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সামছুল আলম দুদুকে। পরে তাকেই সমর্থন দেন এই নেত্রী।
জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সদস্য মোছা. মাছুদা বেগম ঝর্ণা পাঁচবিবির দানেজপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। পাঁচবিবি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে রয়েছেন মাছুদা বেগম। এ ছাড়া জয়পুরহাট জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি মোসা. কামরুন্নাহার শিমুল আক্কেলপুরের চকবিলা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধার পুত্রবধূ। এ ছাড়া জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সদস্য মাহফুজা সুলতানা মলি আক্কেলপুরের পূর্ব আমুট্ট গ্রামের বাসিন্দা। তিনি শহীদ সন্তান।
আবিদা সুলতানা কুইন আক্কেলপুর পৌর মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে রয়েছেন। এ ছাড়া তিনি আক্কেলপুর মহিলা কলেজের উপাধ্যক্ষ। এ ছাড়া জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সদস্য অ্যাডভোকেট আঞ্জুমান আরা আয়না, বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সহ-সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রুবিনা আখতার, ইয়াসমিন আরা ও ডিমপল জাজেদিয়াও জয়পুরহাটের নারী নেত্রী হিসেবে মনোনয়ন তুলেছেন।
জয়পুরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, সংরক্ষিত ৪৮ আসনের বিপরীতে সারা দেশে ১ হাজার ৫৪৯ জন নারী নেত্রী মনোনয়ন তুলেছেন। এর মধ্যে কারা ৪৮ আসনে মনোনয়ন পাবেন তা আমাদের সভানেত্রী (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) জানেন। তিনি যাকে ভালো মনে করবেন তাকেই মনোনয়ন দেবেন।
প্রসঙ্গত, গত ৬ থেকে ৮ ফেব্রুয়ারি বিকেল পর্যন্ত দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি করে আওয়ামী লীগ। এক হাজার ৫৪৯টি মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয় বলে জানিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এবার ৫০টি সংরক্ষিত নারী আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ পেয়েছে ৪৮টি।
এমজেইউ